দেবীর বোধনের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে সানাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। কিন্তু আসতে না আসতেই যেন দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে হচ্ছে।
মহালয়া থেকে দেবী দুর্গার মর্ত্যলোকে আসার ঘণ্টা বাজে। ষষ্ঠীতে তিনি ভক্তদের মাঝে অধিষ্ঠিত হন। আর দশমীতে তিনি চলে যান কৈলাশ। আজ বিজয়া দশমী।
আজ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দুর্গা। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
এ সময় অনেকে শেষবার প্রণাম করবেন দুর্গা দেবীকে। কেউবা মনোবাঞ্ছা পূরণে গুঁজে দেবেন চিরকুট।
গত শনিবার (১ অক্টোবর) ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুর্গাপূজা। রবিবার ছিল মহাসপ্তমী ও সোমবার মহাঅষ্টমী। আর মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) শুরু হয় নবমীর আনুষ্ঠানিকতা।
পুরোহিতদের মতে, মহানবমীতে ভক্তদের দেওয়া ষোড়শ উপাচারের সঙ্গে ১০৮টি নীলপদ্মে পূজা হয় দেবী দুর্গার। এ ছাড়া নীলকণ্ঠ, নীল অপরাজিতা ফুল ও যজ্ঞের মাধ্যমে মহানবমীর বিহিত পূজা হয় মঙ্গলবার। নবমীর দিনে যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে আহুতি দেওয়া হয়। ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ ও ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়।
পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন হবে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের মধ্যে। সন্ধ্যা-আরাত্রিকের পর প্রতিমা বিসর্জন ও শান্তিজল গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সব আয়োজন।
সনাতনী শাস্ত্র মতে এবার দেবী দুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় গজে চড়ে মর্ত্যলোকে এসেছেন। এতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড়বৃষ্টি হবে, কিন্তু শস্য ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে নৌকায় চড়ে স্বর্গে বিদায় নেবেন, ফলে জগতের কল্যাণ সাধিত হবে।