ঢাকা, বাংলাদেশ | শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

শিরোনামঃ

   ভূমিকম্পে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আহত অনেকে    ইদানীং জায়েদ খানের পাগলামি বেড়ে গেছে : হিরো আলম    বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দী তাদের নেতারা : তথ্যমন্ত্রী    খাগড়াছড়িতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন ৭ জন প্রার্থী    মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন এমরান হোসেন মিয়া    দলের পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে : তথ্যমন্ত্রী    ৭ম বারের মতো আ.লীগ দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক পেলেন রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু,    খাগড়াছড়িতে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল    রাজশাহী আদালত চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণ    অটোরিকশা থেকে নামিয়ে ২ যুবককে হাতুড়িপেটা    স্ত্রী বাবার বাড়ি থেকে না ফেরায় স্বামীর আত্মহত্যা    বিএনপির নেতা মিন্টুর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন    দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ    বিএনপি দেশের মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী    দুপুরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বিতরণ

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ইভিএম নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় আছে। তারা ভাবে ইভিএমে একটি মার্কায় ভোট দিলে, অন্যটিতে চলে যায়।

তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। যেখানে ভোটাররা নিরাপদ পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে রংপুর সার্কিট হাউজে জেলা পরিষদ নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ইভিএম নিয়ে তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে মানুষের মাঝে সংশয় আছে। তারা ভাবে ইভিএমে একটি মার্কায় ভোট দিলে, অন্যটিতে চলে যায়। আমরা কমিশনে আসার পর ৬ মাস ধরে ইভিএম নিয়ে কাজ করেছি। টেকনিক্যাল পারসনরাও ইভিএমে ভোট নিয়ে ত্রু টি ধরিয়ে দিতে পারেনি। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের টেকনিক্যাল পারসনদের দিয়ে ইভিএমের ত্রু টি ধরিয়ে দিতে বলেছিলাম, তারাও সেটি পারেনি।

ইভিএমে ত্রু টি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দপ্তরে এসে এখনও কেউ ইভিএমের ত্রু টি ধরিয়ে দিতে পারেন। ত্রু টি থাকলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ইভিএম নিয়ে লোকমুখে নানা কথা ছড়ালেও এখন পর্যন্ত কেউ ত্রু টি প্রমাণ করতে পারেনি। বরং ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন হলে পেশি শক্তির ব্যবহার রোধ করা যায়, জালভোট, দু’বার ভোট প্রদান, সময়ের আগে ভোট প্রদান বন্ধ করা সম্ভব হয়।

ইসি বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, জেলা পরিষদের ভোটার সংখ্যা যেহেতু কম। যারা ভোটার তারা সকলেই জনপ্রতিনিধি। তাই জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর প্রয়োজন নেই বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা ও জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। কারণ সেখানে পেশি শক্তির ব্যবহার, নানা বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, রংপুরে নির্বাচনী পরিবেশ ভালো রয়েছে। আসন্ন রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে। ভোটগ্রহণ হতে পারে ইভিএমের মাধ্যমে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম প্রমুখ।

 


প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও
কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।