ঢাকা, বাংলাদেশ | শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

শিরোনামঃ

   ভূমিকম্পে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আহত অনেকে    ইদানীং জায়েদ খানের পাগলামি বেড়ে গেছে : হিরো আলম    বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দী তাদের নেতারা : তথ্যমন্ত্রী    খাগড়াছড়িতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন ৭ জন প্রার্থী    মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন এমরান হোসেন মিয়া    দলের পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে : তথ্যমন্ত্রী    ৭ম বারের মতো আ.লীগ দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক পেলেন রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু,    খাগড়াছড়িতে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল    রাজশাহী আদালত চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণ    অটোরিকশা থেকে নামিয়ে ২ যুবককে হাতুড়িপেটা    স্ত্রী বাবার বাড়ি থেকে না ফেরায় স্বামীর আত্মহত্যা    বিএনপির নেতা মিন্টুর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন    দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ    বিএনপি দেশের মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী    দুপুরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বিতরণ

উপকূলজুড়ে পড়ে রয়েছে ২৩০টি তিমি! অধিকাংশই মৃত। তবে এর মাঝেও কিছু জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। এটি তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলের এই দৃশ্য। তিমিগুলো উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, সপ্তাহদুয়েক আগেই ১৪টি স্পার্ম হোয়েলস তাসমানিয়ার উত্তরপশ্চিম উপকূলে উঠে এসেছিল। তারপর আবার এই দৃশ্য, যা নিয়ে প্রকৃতিবিদ পরিবেশবিদদের মধ্যে সাড়া পড়ে গেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও রীতিমতো চর্চা চলছে বিষয়টি নিয়ে।

‘ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাচারাল রিসোর্সেস অ্যান্ড এনভিরনমেন্ট তাসমানিয়া’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সমুদ্র সংরক্ষক যারা তারা এখন যে যে সমুদ্র উপকূলজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিপথগামী এসব তিমি, সেসব জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখছেন। তারা তাসমানিয়ার ম্যাককুয়্যারি হারবারেও গিয়েছেন। তারা মনে করেছেন, হঠাৎ করে সৈকতে উঠে-আসা এই তিমিদের মধ্যে বেশ কিছু বেঁচে থাকতে পারে। তারা যে বিপুল কর্মভার গ্রহণ করেছেন সেখানে স্থানীয় সাধারণ মানুষেরও সহায়তা জরুরি। সাধারণ মানুষ যাতে বিজ্ঞানী ও পরিবেশকর্মীদের সঙ্গে এই উদ্ধারকাজে সামিল হয় সেই আহ্বানও জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে স্থানীয়দের আরও আহ্বান জানানো হয়েছে, তারা যেন কোনওভাবেই যেন সৈকতে আসা তিমিদের বিরক্ত না করেন। যেগুলো এখনও জীবিত আছে, তাদের তো নয়ই, এমনকি, যেগুলো ইতোমধ্যেই মারা গেছে সেগুলো নিয়েও যেন সাধারণ মানুষ কিছু না করে। ওয়েস্ট কোস্ট কাউন্সিলের জেনারেল ম্যানেজার ডেভিড মিডসন বলেছেন, এই তিমিগুলো প্রোটেক্টেড স্পিসিসের অন্তর্গত। ফলে এদের কোনওভাবেই বিরক্ত করা যাবে না।

কিন্তু কেন এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে? কেন তিমিরা সমুদ্র ছেড়ে বারবার উঠে আসছে সৈকতে? এ নিয়ে কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?

গ্রিফিথ বিশ্বিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞানী ওলাফ মেইনেকে এই ঘটনাকে খুবই অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, সমুদ্রের পানি ক্রমশ গরম হয়ে উঠছে, এর ফলে তিমি বা অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে সমুদ্র ক্রমশ এক প্রতিকূল স্থান হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কেননা পানির উষ্ণতার তারতম্যের জন্য সমুদ্রস্রোতেও ঘটছে বৈপরীত্য। এর উপর রয়েছে খাদ্যাভাব। সমুদ্রে পর্যাপ্ত খাদ্য না পেয়ে সামুদ্রিক প্রাণীরা তীরে উঠে পড়ছে। অর্থাৎ, মূলত খাদ্য ও বাসস্থানের জন্যই এই অবস্থা দেখা যাচ্ছে বলে তার মত।

অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ ও পানিসম্পদ মন্ত্রী ট্যানিয়া প্লিবারসেক এই ঘটনার জন্য খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।


প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও
কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।