ঢাকা, বাংলাদেশ | শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

শিরোনামঃ

   ইদানীং জায়েদ খানের পাগলামি বেড়ে গেছে : হিরো আলম    বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দী তাদের নেতারা : তথ্যমন্ত্রী    খাগড়াছড়িতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন ৭ জন প্রার্থী    মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন এমরান হোসেন মিয়া    দলের পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে : তথ্যমন্ত্রী    ৭ম বারের মতো আ.লীগ দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক পেলেন রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু,    খাগড়াছড়িতে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল    রাজশাহী আদালত চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণ    অটোরিকশা থেকে নামিয়ে ২ যুবককে হাতুড়িপেটা    স্ত্রী বাবার বাড়ি থেকে না ফেরায় স্বামীর আত্মহত্যা    বিএনপির নেতা মিন্টুর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন    দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ    বিএনপি দেশের মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী    দুপুরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বিতরণ    যুক্তরাষ্ট্রে ৩ ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে গুলি

দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর কাতারের ইসলামি শিল্পকলা জাদুঘর (দ্য মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট) পুনরায় চালু করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গত এক বছর যাবত পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে ঢেলে সাজানোর পর জাদুঘরটি চালু করা হলো।

সংস্কার করা জাদুঘরটিতে ১৮টি আধুনিকীকরণ গ্যালারি রয়েছে। সেখানে ইসলামি শিল্প, ইতিহাস এবং ইসলামি ঘনিষ্ঠ সংস্কৃতি স্থান পেয়েছে।

মঙ্গলবার জাদুঘরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাতারের উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল থানি, কাতার জাদুঘরের চেয়ারপার্সন শায়খা আল মায়াসা বিনতে হামদ আল থানি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাতার জাদুঘরের চেয়ারপার্সন শায়খা মায়াসা বলেন, আমরা ইসলামি জাদুঘরটি পুনরায় চালু করতে পেরেছি এটা গর্বের। দেশের সম্প্রদায় এবং আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপের দর্শণার্থীদের তিনি জাদুঘর ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান।

ইসলামি শিল্পকলা জাদুঘরটি দোহা উপসাগরের দক্ষিণ প্রান্তের কৃত্রিক উপদ্বীপে অবস্থিত। এতে ইসলামি ইতিহাসের বিভিন্ন যুগ অনুযায়ী আলাদা গ্যালারিতে আরব ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র, শিলালিপি, তৈজসপত্র, গহনা, অস্ত্র, পাণ্ডুলিপি স্থান পেয়েছে। জাদুঘরের পাশাপাশি রয়েছে- সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার যেখানে আরবি ও ইংরেজি ভাষার দেড় লাখের বেশি বই আছে। এছাড়া রয়েছে বিশ্বের প্রায় ২০০ দুর্লভ বই যা বিশ্বের আর কোথাও পাওয়া যাবে না। একইসঙ্গে শিশুদের জন্যও পৃথক পাঠাগার রয়েছে।

৪৫ হাজার বর্গমিটার স্থানজুড়ে নির্মিত পাঁচতলা জাদুঘরের ভেতরের অংশগুলো কাচ দিয়ে সাজানো। এর একপাশ থেকে আরেকপাশে কাচের তৈরি সিঁড়ি দিয়ে যেতে হবে। মাঝখানে রয়েছে ১৬৪ ফুট উঁচু গম্বুজ। ২০০০ সালে জাদুঘরটির নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ২০০৮ সালে সবার জন্য এটি উন্মুক্ত করা হয়। এর নকশা করেছেন ৯১ বছর বয়সী চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিন স্থপতি আইএম পাই। নকশা চূড়ান্ত করার আগে তিনি বিভিন্ন মুসলিম দেশে প্রায় ছয় মাস ভ্রমণ করে জাদুঘর ও মুসলিম স্থাপত্য ও ইতিহাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন।

জাদুঘরটির পরিচালক জুলিয়া গোনিলা বলেন, এটি মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ইসলামি শিল্পকলা জাদুঘর। এ জাদুঘর পরিদর্শনের মাধ্যমে দর্শণার্থীরা ইসলামি সংস্কৃতি, শিল্পকলা ও ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, জাদুঘরটি আগে শুধুমাত্র শিল্পকলাকেন্দ্রিক ছিল। এখন এতে সংস্কৃতি যুক্ত করা হয়েছে। আমরা এসব দুর্লভ দুর্দান্ত বস্তুগুলোর পেছনের গল্প দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরতে চাই।


প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও
কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।