ঢাকা, বাংলাদেশ | বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

শিরোনামঃ

   দুপুরে আমিন বাজারে বিএনপির সমাবেশ    দোকানে চুরি করতে ঢুকে ৯৯৯-এ কল দিয়ে গ্রেফতারের আবেদন চোরের!    চোর সন্দেহে চার নারী গ্রেফতার হয়েছে সাভারে    প্রাইভেটকারকে মামলা দেওয়ায় নারী সার্জেন্টকে মারধর    যে কারণে স্বামীকে ভাই ডাকা যাবে না    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন আজ    মামলা দেওয়ায় নারী সার্জেন্টকে মা-মেয়ের মারধর    শ্যালো মেশিনের পাখার সাথে হিজাব পেঁচিয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু    ভিসানীতি নিয়ে বিব্রত কিংবা আতংকিত হওয়ার কিছু নেই: রাষ্ট্রমন্ত্রী    বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ল টাইগাররা    বক্তৃতায় দাঁড়ালেই তার চোখে পানি,কান্নায় কান্নায় বুক ভেসে যায়: কাদের    ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ গেল ভবন মালিকের    গুগলের ২৫তম জন্মদিন আজ    বিকালে পাবনায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি    ইভটিজিং এর ঘটনায় মাইকিং করে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

কিডনি কেনা-বেচায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করার কথা জানিয়ে র‌্যাব বলেছে,

তাদের দলনেতা নিজের কিডনি বিক্রি করে প্রতারিত হয়েছিলেন।

এরপর তিনিও কিডনি কেনা-বেচার একটি চক্র গড়ে তোলেন।

গতকাল বুধবার রাজধানীর ভাটারাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ।

গ্রেফতাররা হলেন আনিছুর রহমান, আরিফুল ইসলাম রাজিব, সালাউদ্দিন তুহিন, সাইফুল ইসলাম ও এনামুল হোসেন।

আনিছুর বাকি চার জনের নেতা। আর সাইফুল একটি ট্র্যাভেল এজেন্টের মালিক।

আনিছুরের বাড়ি টাঙ্গাইলে, রাজিবের পিরোজপুরে এবং অন্যদের বাড়ি চাঁদপুরে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আনিছুর ২০১৯ সালে ভারতে গিয়ে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেন।

একজন দালাল তাকে প্রলুদ্ধ করেছিলেন।

আনিছুরের দাবি, যাকে তিনি কিডনি দিয়েছেন,

তার কাছ থেকে যত টাকা নেওয়া হয়, তার চেয়ে তাকে দেওয়া হয় অনেক কম।

র‌্যাবের ভাষ্য, ভারতে কিডনি প্রতিস্থাপনে রোগীদের ব্যাপক চাহিদা আছে ভেবে পরে নিজেই একটি চক্র গড়ে তোলেন আনিছুর।

ভারতে যারা এই কারবারে জড়িত, তাদের সঙ্গে গড়ে তোলেন সখ্য।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, “অনলাইনে বিত্তশালী কিডনি রোগী এবং

বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে ডোনার সংগ্রহ করে বৈধ ও

অবৈধভাবে বিমানে বা স্থলপথে ২০১৯ সাল থেকেই ভারতে কিডনি পাঠাতে শুরু করেন আনিছুর।”

পাঁচ জনকে গ্রেফতারের পর কিডনিদাতা এবং গ্রহীতার ভুয়া অঙ্গীকারনামা- চুক্তিপত্র, পাসপোর্ট, এটিএম কার্ড, ভারতীয় রুপি,

বাংলাদেশি টাকা জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোস্তাক জানান, কিডনি গ্রহীতা বিত্তশালী হলে কিডনিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকাও নেওয়া হত।

কিন্তু কিডনিদাতাকে দেওয়া হত ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা।

ভারতের চক্রটি বাকি টাকার প্রায় অর্ধেক নিয়ে যেত।

বাকি টাকার বেশিরভাগ রাখতেন আনিছুর।

চক্রটি এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ জনের কিডনি কেনা-বেচা করেছে জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন,

“প্রত্যন্ত অঞ্চলে দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা মানুষদের টার্গেট করে টাকার লোভ দেখাত তারা।

অসুস্থদের বিনামূল্যে চিকিৎসার কথা বলেও ফাঁদ ফেলত।”

চক্রটি কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করে জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা জানান,

একটি দল সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিত্তশালী রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

আরেকটি দল অভাবে থাকা মানুষদের সঙ্গে কথা বলত।

ট্র্যাভেল এজেন্টের মালিক সাইফুলের নেতৃত্বে অপর দলটি রোগীদের ভারতে পার করত।

তারা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামে জাল কাগজপত্রও তৈরি করত।

আনিছুর ঢাকায় বসে টাকা লেনদেনের বিষয়সহ পুরো বিষয়টি তদারকি করতেন বলেও জানিয়েছে র‌্যাব।

এনএএন টিভি


প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও
কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।