ঢাকা, বাংলাদেশ | বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

শিরোনামঃ

   শেখ হাসিনা ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে নরসিংদীতে আ.লীগের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল    ‘এখন আর নীরব থাকার সুযোগ নাই’ : মির্জা ফখরুল    দুপুরে আমিন বাজারে বিএনপির সমাবেশ    দোকানে চুরি করতে ঢুকে ৯৯৯-এ কল দিয়ে গ্রেফতারের আবেদন চোরের!    চোর সন্দেহে চার নারী গ্রেফতার হয়েছে সাভারে    প্রাইভেটকারকে মামলা দেওয়ায় নারী সার্জেন্টকে মারধর    যে কারণে স্বামীকে ভাই ডাকা যাবে না    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন আজ    মামলা দেওয়ায় নারী সার্জেন্টকে মা-মেয়ের মারধর    শ্যালো মেশিনের পাখার সাথে হিজাব পেঁচিয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু    ভিসানীতি নিয়ে বিব্রত কিংবা আতংকিত হওয়ার কিছু নেই: রাষ্ট্রমন্ত্রী    বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ল টাইগাররা    বক্তৃতায় দাঁড়ালেই তার চোখে পানি,কান্নায় কান্নায় বুক ভেসে যায়: কাদের    ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ গেল ভবন মালিকের    গুগলের ২৫তম জন্মদিন আজ

নারায়ণগঞ্জে প্রতিদিন গড়ে ৮-এর বেশি তালাকের ঘটনা ঘটছে।

আর বিচ্ছেদের নেপথ্যে পাওয়া গেছে পরকীয়া প্রেম, ফেসবুক প্রেম, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, মাদকাসক্ত, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, দ্বিতীয় বিয়ে, পারিবারিক কলহ, অভাব-অনটন, বনিবনা না হওয়াসহ নানা কারণ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্র বলছে, ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী মুসলিম শরিয়াহ মোতাবেক নারায়ণগঞ্জে বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়েছে ৮ হাজার ১৮৩টি। এর মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে ৩ হাজার ১৪২ জনের। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে আটটির বেশি তালাক হয়েছে।

২০২০ সালের একটি তথ্য বলছে, ওই বছর জেলায় ৭ হাজার ৩২৬টি বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়। তার মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে ২ হাজার ৫৬৩টি। ২০১৯ সালে ৯ হাজার ৭১৫টি বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়েছে। এর মধ্যে তালাক হয়েছে ৩ হাজার ২৯৮টি। এর আগের বছর ২০১৮ সালে ১০ হাজার ১২৩টি বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছে। বিচ্ছেদ হয়েছে ৩ হাজার ৪৮৩টি। এসব পরিসংখ্যান বলছে নারায়ণগঞ্জে বেশ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে তালাক।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তালাকবিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ হান্নান মিয়া জানান, ‘গত এক বছরে আমাদের এখানে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জমা পড়েছে মোট ৯৮১টি। সবগুলো আবেদন বিচ্ছেদে পরিণত হয়েছে।’

বিবাহবিচ্ছেদের কারণ সম্পর্কে শিরীন আফরোজা নামে এক নারী জানান, ‘আমাদের লাভ ম্যারেজ ছিল। আগে থেকেই একে অপরকে পছন্দ করতাম। এরপর আমরা বিয়ে করি। বিয়ের কয়েক বছর আমাদের সুখের সংসার ছিল। দুজনই সবসময় হাসিখুশিতে মেতে থাকতাম। কিন্তু সেই হাসিখুশি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। স্বামী অলস আর খিটখিটে মেজাজের। কিন্তু প্রেম করার সময় কখনো ওই মেজাজ দেখায়নি। অল্পতে রেগে যায়। কাজ করতে চায় না। সারাদিন অলস থাকে। একপর্যায়ে সংসারে নানা টানাটানি দেখা দেয়। ব্যাস শেষ পর্যায়ে তালাক।

শহরের টানবাজার এলাকার বাসিন্দা আরিফ ইসলাম কনক জানান, পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। সবাই খুব সামাজিক মনে হয়েছিল। হঠাৎ আমার মাকে তার সহ্য হচ্ছিল না। আলাদা সংসারের জন্য পাগল হয়ে গেল। আমি একমাত্র ছেলে। সেই যেকোনো মূল্যে বাবা-মা থেকে আলাদা করতে চায়। আর সংসার করা হলো না।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার ডিরেক্টর মাহমুদুর রহমান ডালিয়া বলেন, আমাদের এখানে তালাক নানা বিষয়ে বিচার হয়। সেখানে আমরা দেখেছি বিশেষ করে মোবাইল ফেসবুকে পরকীয়া, যৌতুক আর উপার্জনের চেয়ে সংসারে চাহিদা বেশি থাকায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তালাক বেশি হচ্ছে। এছাড়া মাদকাসক্ত, বেকারত্ব, অভাব-অনটন, নারী নির্যাতন এগুলোও তালাকের কারণের মধ্যে রয়েছে।


প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও
কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।