গুলিতে নয়, মাথায় আঘাত জনিত কারণে মুন্সীগঞ্জের যুবদল নেতা শাওয়নের মৃত্যু হয়েছে এমন তথ্য উঠে এসেছে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে।
নিহত শাওনের মাথায় বা শরীরের কোথাও গুলি বা গান পাউডারের চিহৃ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মাহফুজ আল মামুন সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসময় পুলিশ সুপার মাহফুজ আল মামুন জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর সম্মুখে নিহত শাওনের মৃতদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তর করে। পরে ফরেনসিক বিভাগ মৃতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে চূড়ান্ত মতামত এবং সুরতহাল ও ভিসেরা রিপোর্ট পর্যালোচনায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মাথায় আঘাতজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে মর্মে মতামত প্রদান করেন। এ রিপোর্টে মাথার পেছনে থেতলানো আঘাত রয়েছে বলে উল্লেখ্য আছে। এছাড়া গান শুটের কোনো আঘাত নেই এমন দাবি করে তিনি এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিষয়টি বিজ্ঞ আদালতে অবহিত করেন। ইতোমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলেও জানান। তিনি আরো বলেন নিহত শাওনের পরিবারকে ন্যায় বিচার প্রদান করতে বদ্ধপরিকর জেলা পুলিশ।
এছাড়াও পুলিশ সুপার বলেন, নিহত শওনের পরিবার থেকে যদি কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে আইনি সহায়তার সবরকম ব্যবস্থা নিবে জেলা পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে সদর উপজেলার মুক্তাপুর ফেরিঘাট এলাকায় বিএনপি নেতা কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিক, পথচারিসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় মিরকাদিম পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাওন গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ ঘণ্টা লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয়। সেই সংঘর্ষের পর থেকে পুলিশের গুলিতে শাওনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে বিএনপি।