যশোরের সাতমাইল মথুরাপুর রেললাইনের পাশে অজ্ঞাত মৃতদেহের পরিচয় সনাক্ত করেছে পুলিশ।
নিহত আঁখি মনি (১৪) ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দড়িয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ লাইন্সের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন।
পুলিশ জানিয়েছে আঁখি মনিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ রেললাইনের পাশে ফেলে দেয় তার পালিত পিতা মিন্টু সরদার (৩৯)।
আঁখি মনি মহেশপুরের দাড়িয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
বেলাল হোসাইন জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভিকটিম আঁখি মনিকে নিয়ে তার পালিত বাবা চৌগাছা বলুহ দেওয়ানের মেলায় ঘুরতে নিয়ে যায়।
ঘুরাঘুরি শেষে পরের দিন রবিবার যশোর রেল ষ্টেশনে পৌঁছে হোটেল বৈকালী আবাসিকে ডি-৫ নং রুমে ওঠে।
সেখানে ভিকটিম আখি মনির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে। পরে ওই দিন রাতে ট্রেন যোগে বাড়ি ফেরার সময় রাতে যশোর রেল ষ্টেশনের পাশে ঝোপঝাড়ের মধ্যে পুনরায় ধর্ষণ করে।
রাত ১১টার দিকে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চলন্ত ট্রেনে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এরপর চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আঁখির পায়েল (নুপুর) ২টি সিগারেটের প্যাকেট ভর্তি করে ঘরের পাশে আবর্জনার মধ্যে পুতে রাখে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান,
এ ঘটনার পর সোমবার সকালে এলাকাবাসী খবর দিলে পুলিশ সাতমাইল মথুরাপুর রেললাইনের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে তার পরিচয় সনাক্ত করে ডিবি পুলিশ।
পরিচয় সনাক্তের পর ডিবি পুলিশের একটি টিম আঁখি মনির বাড়িতে গিয়ে আঁখি মনির পালিত বাবা মিন্টু সরদারকে আটক করে
জিজ্ঞাসাবাদ করলে মিন্টু হত্যার দায় স্বীকার করে তথ্য প্রদান করে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন :
- মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করায় ফার্মেসীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
- সাভারে চাঁদাবাজ চক্রের তিন সদস্যকে হাতেনাতে গ্রেফতার
- বাংলাদেশে ৭০টি গুমের ঘটনা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি
- লিবিয়ার বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে
- অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা মোটসাইকেলচালকের, যুবক নিহত
- পদ্মা সেতু দিয়ে ১২০ কিমি বেগে ছুটল ট্রেন
- রাস্তার পাশে মিলল অজ্ঞাত তরুণীর কম্বল মোড়ানো লাশ
One Reply to “মেলায় ঘুরতে নেওয়ার কথা বলে “ধর্ষণের পর কিশোরীকে হত্যা””
Comments are closed.