ঢাকা, বাংলাদেশ | বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

শিরোনামঃ

   দুপুরে আমিন বাজারে বিএনপির সমাবেশ    দোকানে চুরি করতে ঢুকে ৯৯৯-এ কল দিয়ে গ্রেফতারের আবেদন চোরের!    চোর সন্দেহে চার নারী গ্রেফতার হয়েছে সাভারে    প্রাইভেটকারকে মামলা দেওয়ায় নারী সার্জেন্টকে মারধর    যে কারণে স্বামীকে ভাই ডাকা যাবে না    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন আজ    মামলা দেওয়ায় নারী সার্জেন্টকে মা-মেয়ের মারধর    শ্যালো মেশিনের পাখার সাথে হিজাব পেঁচিয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু    ভিসানীতি নিয়ে বিব্রত কিংবা আতংকিত হওয়ার কিছু নেই: রাষ্ট্রমন্ত্রী    বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ল টাইগাররা    বক্তৃতায় দাঁড়ালেই তার চোখে পানি,কান্নায় কান্নায় বুক ভেসে যায়: কাদের    ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ গেল ভবন মালিকের    গুগলের ২৫তম জন্মদিন আজ    বিকালে পাবনায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি    ইভটিজিং এর ঘটনায় মাইকিং করে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর চরাঞ্চলের কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তিল চাষ।

চরের মাটি প্রচুর পলি যুক্ত হওয়ায় কম পরিশ্রমে তিলের ভালো ফলন পাওয়া যায়।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও তিলের বাম্পার ফলন হবে।

বাজারে তিলের চাহিদাও রয়েছে অনেক।

ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তিল চাষিদের সংখ্যা।

যমুনার ভাঙনে সব হারানো কৃষকরা তিল চাষে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন বুনছেন।

টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চরাঞ্চলে তিলের আবাদ ভালো হয়।

চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৩ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।

কিছু দিনের ভেতরে তিল কাটা হলে এখান থেকে ৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন তিল উৎপাদন হবে।

তিল উৎপাদনের জন্য যে চাষি আছে, তাদের মধ্যে চর অঞ্চলের চাষিরা বেশি।

চরের পলি মাটি তিল চাষের জন্য উপযোগী। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তিল চাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তা,

রোগ বালাই দমনে সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে তিল চাষিদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, কালিহাতী, ভুয়াপুর ও গোপালপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে জেগে ওঠা চরে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি তিলের আবাদও হয়েছে।

যত দূর চোখ যায়, শুধু তিলের সবুজ গাছের সমাহার। বেশ কিছু অংশে তিল পরিপক্ব হয়ে উঠেছে।

কয়েক দিনের মধ্যে সংগ্রহ করবে চাষিরা।

বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৬ মণ তিল পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, যমুনার চরাঞ্চলে ফসলের ফলন বেশ ভালো হয়।

এখানে সারা বছর নানা ধরনের ফসলের আবাদ হয়ে থাকে।

চলতি বছর তিলের বাম্পার ফলনের আশা করছেন জেলা কৃষি অফিস ও কৃষকরা।

আবহাওয়া অনুকূল থাকলেও তিল ঘরে তুলতে পারলে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবেন চরাঞ্চলের তিল চাষিরা।

যমুনা চরের তিল চাষি সদর উপজেলার চরপৌলী এলাকার শাহেদ আলী, বাচ্চু মিয়া, ছোরহাব মিয়াসহ অনেকেই জানান,

আগের তুলনায় চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলে তিলের আবাদ তুলনামূলক বেশি হয়েছে।

তিল চাষ সহজ ও লাভজনক।

জমির মাটি সমান করে বীজ ছিটানোর তিন মাস পর সেচ, সার ও কীটনাশক ছাড়াই তিল ঘরে তোলা যায়।

তিল চাষি সামান আলী বলেন, এক একর জমিতে তিল চাষ করেছি।

উচ্চ ফলনশীল বীজ ব্যবহারে ফলন ভালো হয়েছে।

আশা করছি বিঘাপ্রতি ৫-৬ মণ করে তিল পাবো।

তিলের দামও ভালো, ৩ হাজার থেকে ৩৫০০ টাকা মণে বিক্রি করা যায়।

আমাদের সরকারিভাবে আরও সহযোগিতা করলে তিল চাষের আবাদ বাড়াবো।

টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহসানুল বাসার বলেন, তিল একটি তৈলজাত ফসল।

যা আমাদের দেশে আগে খুব কম চাষ করা হতো।

এখন ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিল অপেক্ষাকৃত কম উর্বর জমিতেও ফলানো সম্ভব।

আর তিল উৎপাদনে খরচ ও পরিশ্রম কম লাগে।

আমরা চাষিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছি।

আশা করছি আগামীতে তিল চাষের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।

এনএএন টিভি

 


প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও
কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।