গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার করিয়াটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা জহরত আরা চৌধুরীর বিরুদ্ধে বয়স জালিয়াতি করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় এক সচেতন যুবক বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, শিক্ষিকা জহরত আরা চৌধুরী ময়না হাঁসবাড়ী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৯ সালে এসএসসি, বাহাদুরপুর ডিআই.ইউ বালিকা দাখিল মাদরাসা থেকে ১৯৯৭ সালে দাখিল, পলাশবাড়ী সিনিয়র মাদরাসা থেকে ১৯৯৯ সালে আলিম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে বিএসএস এবং গাইবান্ধা পিটিআই থেকে ২০০১ সালে সিএনএড পাশ করেন।
এরপর ১৯৯৭ সালের ২৮ ডিসেম্বরে উপজেলার করিয়াটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নেন। ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিবেসে চাকরি করে আসছেন তিনি। তার ১৯৭৯ সালের এসএসসি সার্টিফিকেট অনুযায়ী জন্ম ১৯৬২ সালে। এতে এই শিক্ষিকার বয়স দাঁড়ায় ৫৯ বছর। ১৯৬২ সালে জন্মগ্রহণ করলে তিনি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার কথা ২০২২ সালেই। অথচ চাকরিতে যোগদানকালে জন্ম সাল দেওয়া হয়েছে ১৯৭৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরে। দাখিল সার্টিফিকেট হিসাবে এই প্রধান শিক্ষিকার বয়স ৪৩ বছর। কিন্তু চাকরিতে যোগদানের জন্ম সাল অনুযায়ী এখনো তার চাকরির বয়স রয়েছে প্রায় ১৭ বছর।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে এ বিষয়ে সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাধারণ শাখার সহকারী কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী শাহারুল ইসলাম বলেন, রোববার (৭ আগষ্ট) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাধারণ শাখার সহকারী কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি স্বাক্ষরিত একটি চিঠির অনুলিপি হাতে পেয়েছি।