ঢাকা, বাংলাদেশ | শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

শিরোনামঃ

   ভূমিকম্পে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আহত অনেকে    ইদানীং জায়েদ খানের পাগলামি বেড়ে গেছে : হিরো আলম    বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দী তাদের নেতারা : তথ্যমন্ত্রী    খাগড়াছড়িতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন ৭ জন প্রার্থী    মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন এমরান হোসেন মিয়া    দলের পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে : তথ্যমন্ত্রী    ৭ম বারের মতো আ.লীগ দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক পেলেন রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু,    খাগড়াছড়িতে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল    রাজশাহী আদালত চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণ    অটোরিকশা থেকে নামিয়ে ২ যুবককে হাতুড়িপেটা    স্ত্রী বাবার বাড়ি থেকে না ফেরায় স্বামীর আত্মহত্যা    বিএনপির নেতা মিন্টুর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন    দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ    বিএনপি দেশের মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী    দুপুরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বিতরণ

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুচপুকুর এলাকায় তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে আশরাফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী এ আদেশ দেন।

তবে পলাতক থাকায় আসামি আশরাফুল ইসলাম এ সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন না।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি আশরাফুল ইসলাম সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুভাষিনী গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র।

এদিকে, নিহত স্কুলছাত্র রিয়াদ হোসেন সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে।

সে কদমতলা কিন্ডারগার্টেনের তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করত।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়,

মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি আশরাফুল ইসলাম জিয়াউর রহমানের বাড়িতে মাঝেমাঝে যাতায়াত করতেন।

এক পর্যায়ে তিনি জিয়াউর রহমানের মেয়েকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেন।

পারিবারিকভাবে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলে আশরাফুল প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজতে থাকেন।

এক পর্যায়ে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রিয়াদকে বেড়াতে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা ফুটবল মাঠে ফেলে রেখে যান আশরাফুল ইসলাম।

পরের দিন সকালে বলাডাঙ্গা ফুটবল মাঠ থেকে রিয়াদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই দিন রাতে রিয়াদের পিতা জিয়াউর রহমান বাদি হয়ে আশরাফুল ইসলামকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা নং-৩৪। তদন্ত শেষে সদর থানার এসআই হুমায়ুন কবির ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই আশরাফুল ইসলামকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন।

পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন ও ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ সোমবার দুপুরে এ আদেশ প্রদান করেন।

এ মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. রোকনুজ্জামান।

অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ।

তিনি জানান,

শিশুকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন :

এনএএন টিভি


প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও
কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।