বিবাহিত ও সন্তানসম্ভবা ছাত্রীরা হলে সিট পাবে না কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন নির্দেশনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আইন শালিশ কেন্দ্র, ব্র্যাক, মহিলা পরিষদ,
আইসিডিডিআরবি, আইপাসসহ ১৯টি সংস্থা। ডিবিসি নিউজে এ বিষয়ে সংবাদ প্রচারের পর সংস্থা গুলো যৌথভাবে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
সোমবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
গত ২৫ সেপ্টেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের বিবাহিত এবং সন্তানসম্ভবা শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়।
ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘আবাসিকতা লাভ ও বসবাসের শর্তাবলি এবং আচরণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা ২০২১–এর ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিবাহিত
এবং সন্তানসম্ভবা শিক্ষার্থীরা আবাসিক সিট পাবে না।’ সিএসও ফোরাম মনে করে, এই বিধান ও নির্দেশনা নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক।
সিএসও ফোরামের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে,
বাংলাদেশের সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসন সনদে (সিডও) শিক্ষাঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর প্রতি বৈষম্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সেখানে আবাসিক হলে ছাত্রীদের বসবাসের ক্ষেত্রে এমন বৈষম্যমূলক বিধান ও তার প্রয়োগ খুবই উদ্বেগজনক ও নিন্দনীয়।
সিএসও ফোরাম মনে করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকার ক্ষেত্রে এ ধরনের লিঙ্গ বৈষম্যমূলক নীতির চর্চা
শুধুমাত্র বিবাহিত ও গর্ভবর্তী ছাত্রীদের হলে বসবাসের অধিকার থেকেই শুধু বঞ্চিত করবে না
বরং তাদের শিক্ষালাভের মৌলিক অধিকারকে সংকুচিত করবে এবং তাদের জীবনের ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সিএসও ফোরাম হলো—
আইন ও সালিস কেন্দ্র, ব্লাস্ট, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, আইসিডিডিআরবিসহ ১৯টি সংস্থার একটি সম্মিলিত ফোরাম।
বাংলাদেশে নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এই ফোরাম।
প্রতিবাদ জানানো ১৯টি সংস্থার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, আইপাস বাংলাদেশ, আইসিডিডিআর,বি, নারী মৈত্রী, ব্র্যাক, মেরী ষ্টোপস, বাংলাদেশ আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক),
বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি, জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, সিরাক, বাংলাদেশ ফ্যামিলি প্ল্যানিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ওজিএসবি,
নারীপক্ষ, ব্লাস্ট, বাপসা, আরএইচস্টেপ, বাংলাদেশ উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশন, আরটিএম ইন্টারন্যাশনাল, কেয়ার বাংলাদেশ।
One Reply to “বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবাহিত ও সন্তানসম্ভবা ছাত্রীরা হলে সিট পাবে না, এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা”
Comments are closed.