শীত ও ঘন কুয়াশায় কাবু লালমনিহাটের জনজীবন। দিন বাড়ার সাথে সাথে হিমেল হাওয়ায় কাবু তিস্তা ও ধরলা পাড়ের মানুষ।
জেলাজুড়ে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে যুক্ত হওয়া শৈত্য প্রবাহে অনেকটাই বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। কয়েক দিন থেকে শুরু হয়েছে হাড় কাঁপানো শীত। ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে পুরো এলাকা।
বুধবার লালমনিরহাটে সকাল সাড়ে ১১টাও সূর্যের দেখা মেলেনি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে কনকনে ঠাণ্ডা।
সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতে হাসপাতালগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীত জনিত রোগে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার সদরসহ ৫টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪৬ জন ঠাণ্ডাজনিত রোগী ভর্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সির্ভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়।
এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে আলু ক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
ঘন কুয়াশায় দিনের বেলাতেও সড়কে যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। হাড় কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তাছাড়া তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলের মানুষেরা ঠাণ্ডা শুরু হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন।
ভ্যান চালক আকবর আলী বলেন, এই ঠাণ্ডায় কোন যাত্রী পাচ্ছি না। তাই ভ্যান নিয়ে বসে আছি। শীতে কাজ কাম না পেয়ে পরিবার নিয়ে কষ্টের দিন পার করছি।
ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন বলেন, ফকিরপারা ইউনিয়নটি সানিয়াজান নদীবেষ্টিত। প্রতি বছর ঠাণ্ডায় এলাকার মানুষ কষ্টে দিন পার করেন। সরকারি ভাবে ২২০টি কম্বল পেয়েছি প্রয়োজনের তুলনায় তাও অতুলনীয়। আরও কম্বল চেয়ে উপজেলায় আবেদন করছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচ উপজেলায় প্রায় এক লাখ শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
3 Replies to “শীত ও ঘন কুয়াশায় কাবু লালমনিহাটের জনজীবন”
Comments are closed.