২০২৬ সালে বাংলাদেশ গ্র্যাজুয়েট হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মাত্র এক সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমি কাতারে ছিলাম।
সেখানে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অংশগ্রহণে সম্মেলন হয়। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আছি। তবে এবারই আমাদের শেষ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলনে যোগ দেওয়া।
আমরা আর স্বল্পোন্নত দেশে থাকছি না। আমরা উন্নত মধ্যম আয়ের দেশে গ্র্যাজুয়েট হতে চলেছি। আর মাত্র তিন বছর, ২০২৬ সালে আমরা গ্র্যাজুয়েট হয়ে যাব।
আলোচনা সভায় রোজার উপলক্ষে ব্যবসায়ীদের সংযমী হতে আহ্বান জানান টিপু মুনশি। তিনি বলেন, সামনে রমজান মাস আসছে।
ধর্ম বলেছে সংযমী হতে, নিজেকে কন্ট্রোল করতে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে একটাই কথা বলতে চাই, অন্তত এই মাসটায় একটুখানি সংযমী হওয়া দরকার।
আপনারা দয়া করে যেটি ন্যায্য হওয়া উচিত সেটাই করবেন। আমরা আপনাদের সারাদিন ধরে পাহারা দিয়ে রাখতে পারব না।
তারপরও আমরা চেষ্টা করব। আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন দিয়ে গেলাম, আপনার যেটা ন্যায্য হয় সেটা করবেন।
ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। কোথাও দেখলেন একটি মোটরসাইকেল অর্ধেক দামে দেওয়া হচ্ছে।
আর আপনারা সেখানে ঝাঁপ দিয়ে পড়লেন। মোটরসাইকেলের একটা ম্যানুফ্যাকচারিং কস্ট আছে, এটা আপনাদের বুঝতে হবে।
একটা মোটরসাইকেলের কস্ট যদি এক লাখ টাকা হয়। আর সেলিং প্রাইস যদি ২০ হাজার টাকা হয় তাহলে সেটি ৬০ হাজার টাকায় কোথা থেকে দেবে?
ওটা মানুষকে ফাঁদে ফেলার জন্য লোভ দেখাচ্ছে। দিন শেষে তারা মানুষকে ঠকাবে। আপনারা চটকদার বিজ্ঞপ্তি দেখে আকৃষ্ট হবেন না।
তিনি বলেন, আমাদের অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে যদি আমরা ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে মানুষকে জানাতে পারি, সচেতন করতে পারি।
আমরা সবাই জানি ২০০৯ সালে এ আইন পাশ হয়েছে। ২০১০ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ অধিদপ্তরে কাজ শুরু করে।
গত এক যুগে আমরা যতটুকু এগিয়েছি, সেটা এখনো পরিপূর্ণ নয়। আমাদের লোকবল কম। আমরা খুব করে চেষ্টা করছি, যাতে এটা নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়।
2 Replies to “২০২৬ সালে বাংলাদেশ গ্র্যাজুয়েট হয়ে যাবে”
Comments are closed.