নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর একটি ১০ তলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুত্রসন্তান জন্ম দেওয়া কুলসুম বেগম (২৪) মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সন্তান জন্মের ১০ দিন পরে মারা গেলেন কুলসুম।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডা. আইউব হোসেন বলেন, ‘কুলসুমের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শ্বাসনালিও দগ্ধ হয়েছিল। তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
সোমবার (১৩ মার্চ) সাড়ে ১১টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের পঞ্চম তলায় অস্ত্রোপচারকক্ষে সিজারের মাধ্যমে ছেলেসন্তানের জন্ম হয়।
শিশুটি ঢামেক হাসপাতালের এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন।’
কুলসুমের স্বামী মাসুদ বলেন, ‘গত ১২ মার্চ সন্ধ্যার দিকে ফতুল্লার মাজদাইল এলাকায় আমাদের ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় আমি আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ছিলাম। ফায়ার সার্ভিস বিস্ফোরণে আহতদের উদ্ধার করে।
আমার স্ত্রী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। হাসপাতালে আমার স্ত্রীর সিজার হয়, সিজারে একটি ছেলেসন্তান হয়।’
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর এলাকায় ১০ তলা একটি ভবনের ছয়তলায় থাকতেন কুলসুম।
সম্প্রতি ওই ফ্ল্যাটে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় আগুনে দগ্ধ হন কুলসুম ও তার তিন বছরের ছেলে।
এরপর দগ্ধ ব্যক্তিদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
১৩ মার্চ বেলা ১১টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কুলসুমের সন্তানের জন্ম হয়।
সন্তান জন্মের ১০ দিন পরে মা কুলসুম মারা গেলেন।
আরও পড়ুন :
2 Replies to “দগ্ধ অবস্থায় সন্তান জন্ম দেওয়া কুলসুম মারা গেছেন”
Comments are closed.