ঢাকা, বাংলাদেশ | শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

শিরোনামঃ

   আর্জেন্টিনা ৭০ হাজার সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত করতে যাচ্ছে    ৬০ কিমি বেগে রাতেই যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা    ফকিরহাটে ষাটোর্ধ্ব নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার    খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ: মির্জা ফখরুল    লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় বিএসটিআই এর মোবাইল কোর্ট অভিযানে ১৫,০০০/- টাকা জরিমানা    দুটো ছেলে মানুষ করা খুব শক্ত কাজ –কারিনা কাপুর    রাজধানীর খিলগাঁওয়ে অটোরিকশাচালকের অস্বাভাবিক মৃত্যু    কেন ধীর হয়ে আসছে পৃথিবীর ঘূর্ণন, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা    শুক্রবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা    ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসতে পারে শুক্রবার    ড. ইউনূসের পুরস্কার গ্রহণ গাজায় গণহত্যা সমর্থনের শামিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী    নিউইয়র্কে নরসিংদী জেলা সমিতির ইফতার মাহফিল    হ্যাকার চক্রের সন্ধান দিলেই মিলবে মোটা অংকের পুরস্কার    ঝালকাঠিতে নদী থেকে ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার    “এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিল”এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠিত

জার্মানির কোলন শহরের একটি উল্লেখযোগ্য উৎসব কার্নিভাল। সেই উৎসবের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে থাকা

কোরিওগ্রাফার ও ড্যান্সার বিগি ফানেনশ্রাইবার। তার বয়স ৯১। এখনও তিনি বিভিন্ন ড্যান্স গ্রুপকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।

ফানেনশ্রাইবার বলেন, ‘‘ড্যান্স আমার কাছে আত্মার ভাষা। যখন একা থাকি তখনও ড্যান্স আমার সঙ্গে থাকে। অনেক ছোট বয়স থেকে এটা আমি করছি।”

কোলন কার্নিভালেরঅবিচ্ছেদ্য অংশ ড্যান্স, আর ‘ফুঙ্কেনমারিশেন’।

আর ফুঙ্কেনমারিশেন মানেই অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী। এক্ষেত্রে বিগি ফানেনশ্রাইবারের অবদান সবচেয়ে বেশি।

পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে তিনি এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।

১৯৭০ এর দশকে তিনি ফুঙ্কেনমারিশেনের বিখ্যাত

‘উপরে তুলে ধরা ও ছুঁড়ে মারার’ বিষয়টি চালু করেন।

এরপর থেকে তাকে মারিশেনের জননী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ফানেনশ্রাইবার বলেন, ‘‘সমারসল্ট থ্রো, একার্টে থ্রো-ড্যান্সের প্রতি আমার উৎসাহ আমি কোলন কার্নিভালে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি।”

তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের নিজে করে দেখান, কীভাবে ঠিকমতো নাচতে হবে। যেমন এখানে লুফটমারিন ড্যান্স গ্রুপকে দেখাচ্ছেন।

ধ্রুপদি ব্যালে ড্যান্স থেকে বিগি তার কোরিওগ্রাফির অনুপ্রেরণা পান।

১৯৪০ এর দশকের শেষদিকে তিনি কোলন অপেরায় ড্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন।

১৯৫৭ সালে দক্ষিণ জার্মানির ফ্রাইবুর্গের প্রিমা ব্যালেরিনায়ও কাজ করেন বিগি।

১৯৬০ এর দশকের শেষদিকে ইউরোপ ও আমেরিকা চষে বেড়িয়েছেন। তবে শুরু থেকেই কার্নিভালের প্রতি তার ভালোবাসাটা ছিল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোলন শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল।

ওই অবস্থায় বিগি ১৯৪৭ সালে বিধ্বস্ত কোলন অপেরার কাছে প্রতিদিন বিকালে গৃহিনীদের নিয়ে নাচের আয়োজন করেছেন।

এখন ওই জায়গায় একটি হোটেল হয়েছে।

ফানেনশ্রাইবার বলেন,

‘‘আমাদের মতো কোলনের মানুষের কাছে ওটা সবচেয়ে সুন্দর জিনিস ছিল।

কারণ ভয়াবহ সেই যুদ্ধের পর অবশেষে আমরা কার্নিভাল উদযাপন করতে পেরেছিলাম। আবার আনন্দ করতে পেরেছিলাম।

গান গাইতে পেরেছিলাম, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছিলাম। আমার মতো কোলনের মেয়ের কাছে কার্নিভাল হচ্ছে জীবনের পরশমণি।”

ফানেনশ্রাইবার জানান, ‘‘১৯৭০ ও ৬০ এর দশকে কোলন কার্নিভালে একজন নারী কোনো বড় ভূমিকা রাখতে পারতেন না।

কিন্তু সেইসময় পুরুষেরা আবিষ্কার করেছিল-নিজের প্রশংসা নিজে করতে চাই না- আমার গ্রুপ ভালো পারফর্মেন্স করছিল।”

সূত্র : ডয়চে ভেলে।

এনএএন টিভি


প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও
কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।