মানিকগঞ্জের পেঁয়াজের বাজারে আগুন। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
অতিপ্রয়োজনীয় এই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও নাভিঃশ্বাস ভোক্তাদের।
সোমবার (২২ মে) সকালে মানিকগঞ্জের বরংগাইলের পেঁয়াজের হাটে সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীতে হাটটি জমজমাট।
তবে বেশ কিছুদিন ধরে অস্থির থাকা পেঁয়াজের ঝাঁঝ যেন কিছুতেই কমছে না।
মাত্র এক সপ্তাহ ব্যবধানে যেন পেঁয়াজের বাজারে আগুন লেগেছে।
গত সপ্তাহে এ হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ ২ হাজার ৪০০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে তা ২ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
ফলে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপণ্যটির দাম ৪০০ টাকা বাড়ায় হতাশ ভোক্তারা।
আর পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম অতিমাত্রায় বাড়ায় বিপাকে পড়া ক্রেতা সালাম বলেন, এমনভাবে দফায় দফায় দাম বাড়ায় আমাদের মতো ক্রেতার নাভিঃশ্বাস অবস্থা।
কোনো কিছুর দাম বাড়লে তো সেটি আর কমে না। আমাদের আয় তো বাড়েনি। শুধু ব্যয়ই বাড়ছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়ে আরেকক্রেতা সেকেন্দার বলেন,
পাইকারি বাজারের তুলনায় ২০ টাকা বেশি দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হচ্ছি। কী আর করব? আমাদের তো উপায় নেই।
তবে দফায় দফায় পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীদের দুষছেন কৃষকরা। তাই পণ্যটির ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবি করেন তারা।
আরিফ নামের এক কৃষক বলেন, আমরা বর্তমানে পেঁয়াজের দাম ভালো পাচ্ছি। কিন্তু এতেও শঙ্কা কাটছে না।
এখন সরকার যদি পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা লোকসানে পড়ব।
তাই সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ যেন সঠিক দাম নির্ধারণ করা হয়। তাহলে আমরা অনেক উপকৃত হব।
পেঁয়াজ চাষি দুলাল বলেন, আমরা যখনই লাভের মুখ দেখি তখনই তোলপাড় শুরু হয়।
আমরা আমাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য চাই। আমরা বেশি লাভ করতেও চাই না, আবার লোকসানেও থাকতে চাই না।
আরও পড়ুন :