বাংলাদেশের বাজারে যখন পেঁয়াজের ঝাঁজে বেকায়দায় ভোক্তারা, তখন প্রতিবেশী ভারতের কলকাতায় দাম তলানিতে থাকায় ক্ষুব্ধ কৃষকরা।
ভারতে গত বছর এ সময় প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ রুপিতে।
এবার তা নেমে এসেছে ১৫ থেকে ২০ রুপিতে। আর ফুটপাতে পেঁয়াজের দাম মাত্র ১০ রুপি।
তবে বাংলাদেশে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ঠেকেছে ৮০ টাকা।
কলকাতায় পেঁয়াজের বাজার বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় বাঙালির নিত্যদিনের রান্নার এ গুরুত্বপূর্ণ উপকরণের দাম অনেকটাই কম।
গত বছর এই সময়ে যে পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৪৫ রুপি বিক্রি হয়েছে, সেটি বর্তমানে মাত্র ১০ থেকে ২০ রুপি।
এই বাজারের এক পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, চলতি বছর ভারতে প্রচুর পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে।
এককালে দক্ষিণ ভারতের মহারাষ্ট্রের নাসিক পেঁয়াজের একমাত্র উৎস ছিল।
তবে এখন উত্তর ও পূর্ব ভারতের বহু রাজ্যে মানসম্মত পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে।
তাই পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল বহুক্ষেত্রে কম দামেও বিক্রি হচ্ছে। তারপরও পুঁজি ঘরে তোলার কারণে খুশি বিক্রেতারা।
পেঁয়াজের দাম নিয়ে এক ক্রেতা বলেন, গত বছর এই সময় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ রুপিতে বিক্রি হয়েছে। সেখানে এবার পেঁয়াজের দাম সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে।
এমনকি তাদের কেউ কেউ বলছেন, বাজারে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উঠেছে, তাতে সামনে পেঁয়াজ এর দর আরও কমতে পারে।
যদিও কলকাতার পেঁয়াজের বাজারে দেখা মেলে ভিন্ন চিত্রেরও।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, ভালো মানের পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে কম মানের পেঁয়াজ আরও কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।
যার সত্যতা মেলে ফুটপাতের দোকানগুলোয়। বাজারের ভেতরে যেখানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৫ থেকে ২০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে রাস্তায় বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ১২ রুপিতে।
দামের পার্থক্যের বিষয়ে ফুটপাতের এক পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, বাজারের ভেতরে ব্যবসায়ীরা দোকান ভাড়া দিয়ে বসেন।
ফুটপাতে ভাড়া দিতে হয় না। তা ছাড়া প্রচুর গরমে বস্তা বস্তা পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে।
সেই ভয়ে অনেক পাইকারি আড়তদার কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
আরও পড়ুন :