সাজাপ্রাপ্ত এক আসামীকে ১২ বছর আত্মগোপনে থাকার পর রাজধানীর দারুসসালাম থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
তার নাম সোহাগ হাওলাদার(৩২)।
শুক্রবার ভোরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।
তিনি বরিশালের বিমানবন্দর থানা এলাকার তিন বছরের শিশু ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। ১২ বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন।
র্যাব-৪-এর সহকারী পুলিশ সুপার মাজহারুল ইসলাম জানান,
ভুক্তভোগী শিশুটি আসামি সোহাগের প্রতিবেশী ছিল। শিশুটির বাবা রিকশাচালক এবং মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন।
এই সুযোগে ২০১১ সালে ঘটনার দিন শিশুটির বাড়িতে গিয়ে একা পেয়ে দোকান থেকে খাবার কিনে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে নিজ ঘরে এনে ধর্ষণ করে।
এরপর শিশুটিকে রক্তাক্ত ও মুমূর্ষু অবস্থায় ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে সোহাগ পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বরিশাল বিমানবন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ
সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০২১ সালের মে মাসের শেষ দিকে আসামি সোহাগকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন।
এদিকে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকেই গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন সোহাগ।
গত ১২ বছর ধরে রিকশাচালক, দিনমজুর, কুলিসহ বিভিন্ন পেশার আড়ালে ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন তিনি।
সর্বশেষ মিরপুর দারুস সালাম এলাকায় কাঠমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন সোহাগ।
One Reply to “সাজাপ্রাপ্ত আসামি একযুগ পর আটক”
Comments are closed.