ঢাকা, বাংলাদেশ | শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

শিরোনামঃ

   নাটোরে স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, ৪ বন্ধু আটক    চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমি নিয়ে দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত বাক্তির মৃত্যু    আর্জেন্টিনা ৭০ হাজার সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত করতে যাচ্ছে    ৬০ কিমি বেগে রাতেই যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা    ফকিরহাটে ষাটোর্ধ্ব নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার    খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ: মির্জা ফখরুল    লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় বিএসটিআই এর মোবাইল কোর্ট অভিযানে ১৫,০০০/- টাকা জরিমানা    দুটো ছেলে মানুষ করা খুব শক্ত কাজ –কারিনা কাপুর    রাজধানীর খিলগাঁওয়ে অটোরিকশাচালকের অস্বাভাবিক মৃত্যু    কেন ধীর হয়ে আসছে পৃথিবীর ঘূর্ণন, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা    শুক্রবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা    ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসতে পারে শুক্রবার    ড. ইউনূসের পুরস্কার গ্রহণ গাজায় গণহত্যা সমর্থনের শামিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী    নিউইয়র্কে নরসিংদী জেলা সমিতির ইফতার মাহফিল    হ্যাকার চক্রের সন্ধান দিলেই মিলবে মোটা অংকের পুরস্কার

শেরপুর জেলার নেতা বানানোর সুতিকাঘর শেরপুর সরকারি
কলেজের সাবেক ভিপি, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক
উপজেলা চেয়ারম্যান। আতিক সাহেব ১৯৯৬-২০০১, ২০০১-২০০৬,
২০০৯-২০১৪, ২০১৪-২০১৮, ২০১৯ সন থেকে আজ পর্যন্ত
যথাক্রমে ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম ও একাদশ জাতীয় সংসদে একাধারে
নির্বাচিত ৫ বারের সংসদ সদস্য। সে পর্যায়ক্রমে শেরপুর জেলা
আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরে সভাপতি।
দলের ও জনতার ভোটের রাজনীতিতে আতিউর রহমান আতিকের
বিজয়ের হার শতভাগ।আতিক সাহেব তার নিজস্ব জনপ্রিয়তা
কাজে লাগিয়ে সুসম উন্নয়নের লক্ষ্যে শেরপুরের দু/একজন
ব্যক্তিকে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছেন। এদের মাঝে কেউ কেউ
কুখ্যাতি অর্জন করলে উনি তাদের উপর থেকে তার আস্থা তুলে
নিয়েছেন ।শেরপুর জেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আতিউর
রহমান আতিকের জন সমর্থন এবং জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। আতিক
সাহেব পরপর ৫ বার এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রান্তিক ও অবহেলিত
শেরপুর সদর আসনের অকল্পনীয় উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা
রেখেছেন।
এডভোকেট চন্দন কুমার পাল শেরপুর অঞ্চলের অভিজাত পরিবারের
স্বনামধন্য একজন আদর্শ শিক্ষকের ঘরে জন্ম নেয়া, বিখ্যাত
মানুষ। স্বনামধন্য একজন ফৌজদারী উকিল বার বার সরকারি
পিপি। শেরপুর জেলা ছাত্র লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক, দ্বিতীয়
ও তৃতীয় সভাপতি। পর্যাক্রমে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক, বর্তমানে সাধারণ সম্পাদক। রাজনীতি ও শেরপুর অঞ্চলের
মায়া ত্যাগ করে যদি উনি উচ্চ আদালতে আইন পেশায়
নিয়োজিত হতেন, তবে আমি বিশ্বাস করি, দেশসেরা উকিলদের
মাঝে তাঁর নাম থাকতো।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এমপি
আতিউর রহমান আতিক এবং বাবু চন্দন কুমার পাল, প্রায় চার
দশক নেতৃত্ব দিয়ে দলকে সুসংগঠিত ও যে কোন চ্যালেঞ্জ
মোকাবেলার জন্য তৈরী করেছেন। কার্যত শেরপুর অঞ্চলে আওয়ামী
লীগের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল রাজনীতিবিদ উক্ত দুইজন।
আতিক-চন্দনের অতুলনীয় সফলতায় ঈর্শ্বান্বিত হয়ে শেরপুর
জেলার বাইরে থেকে আগত ভিক্ষুকের ন্যায় উচ্ছিষ্ট ভোগী
এক/দুইজন নিম্নস্তরের ব্যাক্তি, তাদের সহযোগী মীর জাফর,
ঘষেটি বেগম এবং জগৎ শেঠরা আতিক-চন্দনের বিরুদ্ধে
ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
গত ২০১৮, ২০১৯ সনে ও গত কয়েক দিন আগে দৈনিক যুগান্তর
পত্রিকায় উক্ত উচ্ছিষ্ট ভোগীদের বরাত দিয়ে এমপি আতিক ও চন্দন
পালকে জড়িয়ে দুইটি ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও মনগড়া খবর
ছাপা হয়েছে। খবরে উল্লেখ করা হয়েছে এমপি আতিক
দূর্নীতির মাধ্যমে শেরপুর, ধানমন্ডি, গুলশান, বনশ্রীতে ফ্লাট ও
প্লটের মালীকানা সহ শতশত কোটি টাকার ধন সম্পদের মালিক।
যা সবই মিথ্যা এবং বানোয়াট। কারণ এসবের নির্দিষ্ট কোন
প্রমান নেই।২০১৮ সনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে
এমপি আতিকের বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশনে উক্তরূপ
একটি বেনামী অভিযোগ দেয়া হয়েছিলো। দূদক আটঘাট
বেধে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে গত ২৯/০৭/১৮
তারিখে এমপি আতিককে পরিসমাপ্তি পত্রের মাধ্যমে দায়মুক্তি
দিয়েছে।
১/১১ সরকারের সময় অনুরূপ অভিযোগের ভিত্তিতে দূদক
অনুসন্ধান ও তদন্ত পূর্বক মামলা দায়ের করে অভিযোগ পত্র
দিয়েছিলো। অভিযোগ ছিলো আতিক সাহেব ৫০০০০/ (পঞ্চাশ)
হাজার টাকার আয়ের উৎস জানাতে পারেনি। আদালতে ইনকাম
ট্যাক্স ফাইলের আইটি-১০ বি ফরম উপস্থাপন করা হলে আদালত
আতিক সাহেব উপস্থাপিত তথ্য প্রমানে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে

মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। হুইপ আতিক বলেছেন
বেতনের টাকা , বাসা ভাড়া , কৃষি খাতের টাকা দিয়ে তার
সংসার চলে তবে সরকারের কাছে ৮ কোটি টাকার মালিক
রয়েছেন বলে উল্লেখ্য করেছেন ।
এমপি আতিক শেরপুর শহরে বাড়ি করার সময় ব্যাংক থেকে
দুইবারে লোন নিয়েছেন মোট ৮৩ লক্ষ টাকা। সন্মানী ভাতা সহ
অন্যান্য ভাতার হিসাব কষলে পরিস্কার বুঝা যায় এমপি আতিউর
রহমান আতিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন। শেরপুর
জেলার অন্যান্য এমপিদের তুলনায় আতিক এমপির সম্পদ ও সম্পদ
বৃদ্ধির পরিমান অনেক কম। তার আয়-ব্যয়ের হিসাবে স্বচ্ছতা
আছে।যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে
বিভিন্ন জায়গায় আতিকের জমি আছে ৯৬ একর কিন্তু যে সব
দলিলের নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে তার সবগুলো যোগ করলে জমির
পরিমান দাড়ায় ৯০ শতাংশ।
এমপি সাহেবের নিজের বাড়ী ও শ্বশুর বাড়ীর মূল্য দেখানো হয়েছে
বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী শতশত কোটি টাকা। অথচ সে
জমি কিনে বাড়ী করেছে ১৫/২০ বছর আগে। বাংলাদেশের আইনে
ক্রয় ও নির্মান কালীন সময়ের মূল্য ব্যাতীত অন্য কোন সময়ের
মূল্য দেখানোর সুযোগ নেই।
কোন তথ্য প্রমান ব্যাতীত, নিকৃষ্ট ও জঘন্য মনমানসিকতায়
তাঁর স্ত্রী কন্যাকেও জড়ানো হয়েছে। অথচ কোন সুনির্দিষ্ট
বিষয় তাদের বিরুদ্ধে উপস্থাপন করতে পারেনি।
এডভোকেট চন্দন কুমার পালের বিরুদ্ধে, রাজাকার ও বিএনপি-
জামায়াত নেতাদের টাকার বিনিময়ে কমিটিতে পদ-পদবি
দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু জামাত-বিএনপির কাকে পদ
পাইয়ে দিয়েছে তার নাম ঠিকানার উল্লেখ নেই।
তার বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ, জেলার ৫২টি ইউনিয়ন পরিষদ
নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত নেতাসহ বিতর্কিতদের

মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে জনপ্রতি ২০ থেকে ২৫ লাখ
টাকা করে নিয়েছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের মনোনয়নের তালিকা তৈরী করে সংশ্লিষ্ট
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। এই তালিকা উপজেলা ও জেলা আওয়ামী
লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক দস্তখত করে কেন্দ্রীয়
কমিটিতে প্রেরণ করে, স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড সভার
মাধ্যমে মনোনয়ন চুড়ান্ত করে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৈরী
করা তালিকায় নাম সন্নিবেশিত করার কোন সুযোগও জেলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেই। সাংবাদিক সাহেবের
এই নিয়মটি অজানা থাকার কথা নয়। পরিষ্কার বুঝা যায় এটি
উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ফরমায়েসী সংবাদ। এই ধরনের সংবাদ সরবরাহ
কারীরা আতিক-চন্দনকে দোষী বানানোর নামে কৌশলে
মনোনয়ন বোর্ড ও আওয়ামী লীগ প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
সিদ্ধান্তকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা করেছে।
তাঁর বিরুদ্ধে অপর অভিযোগ, টেন্ডার ও চাঁদাবাজি। তাঁর ও
তাঁর পরিবারের কোন সদস্য ঠিকাদারি ব্যবসার সাথে জড়িত না,
তাদের কারো নামে কোন লাইসেন্স নাই। সুতরাং এটাও ধোপে
টিকে না। বাকী রইলো চাঁদাবাজি। এরও কোন সুনির্দিষ্ট
অভিযোগ নেই।
সবশেষ অভিযোগ নারীনেত্রী দের যৌন হয়রানী ও তাদের সাথে
অশালীন আচরণ। কোন নারীনেত্রীর সাথে এমন আচরণ করা হয়েছে
তারও নির্দিষ্ট নাম ঠিকানা নেই। খবরের এই অংশটিও সর্বৈব
মিথ্যা কারণ আইন অঙ্গনের পোড় খাওয়া মানুষ হিসাবে চন্দন
বাবু কথা বলেন অত্যান্ত হিসাব কষে মার্জিত ভাবে। কোন
নারীনেত্রী এমন অভিযোগ করেনি এর কোন ভিত্তি নেই।
একা একব্যাক্তি আওয়ামী লীগের কোমড় ভাঙতে পারে এমন
আজগুবি ও গাঁজাখুরি খবর দেশের কোন মানুষই বিশ্বাস করে
না।

শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের আসন্ন সন্মেলন উপলক্ষে
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ফরমায়েশে এমন খবর ছাপা হয়েছে বলে
শেরপুর জেলার ও দেশের আওয়ামী মহল বিশ্বাস করে। দুইএকজন
উচ্ছিষ্ট ভোগীর বরাদ দিয়ে এক সাংবাদিকের মনগড়া, মিথ্যা ও
বানোয়াট রিপোর্টে আওয়ামী লীগের নেতা নির্বাচন করা হয়
না।
আতিক-চন্দন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে সফল জুটি
বিধায় শেরপুরের জনতার মুখে মুখে স্লোগান, আতিক-চন্দন,
শেরপুরের সেতুবন্ধন।
উক্ত খবরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আতিক-চন্দনের
প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করছি।
সবশেষে আতিউর রহমান আতিক এমপি ও এডভোকেট চন্দন
কুমার পালের জন্য শুভ কামনা ও যড়যন্ত্র কারীদের বিচারের ভার রইলো
শেরপুরের লাখো জনতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর।


প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও
কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।