জামদানি শাড়ি, কাশ্মীরি শাল, দামি কার্পেট থেকে শুরু করে কী নেই
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায়! শিশুদের খেলনা, প্লাস্টিক ও ইমিটেশনের চুড়ি, গলার সেট, কানের দুল, মাটির
তৈজসপত্র, ঘর সাজানোর নানা উপকরণ, জুতো বিক্রি হচ্ছে বেশি। শ্বশুরবাড়ির পিঠা ও পঞ্চরসের আচারের
স্টলেও দেখা গেল বেশ ভিড়।বিক্রয়কর্মীদের ফুরসত মিলছে না। জমে উঠেছে দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের বিভিন্ন
রাইডগুলোও।
প্রতিবছরের মতো ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বীর বাঙালির অহংকার’ স্লোগানে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে কাজীর
দেউড়ির আউটার স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে বিজয়মেলার পণ্যমেলা। ১৩ ডিসেম্বর বিকেল তিনটায় এমএ আজিজ
স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকের গোলচত্বরে বিজয় শিখা জ্বালানো হবে।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুস জানান, ১৯৮৯ সালের পর বিগত ৩৩ বছর
বিজয়মেলা হচ্ছে আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার চট্টগ্রামে। যা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিনের
ধারাবাহিকতা রক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শাণিত করার লক্ষ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এবারও
বিজয়মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বিজয়মঞ্চে স্মৃতিচারণসহ নানা কর্মসূচি থাকবে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিজয়মেলা ঘুরে দেখা গেছে, সরগরম হয়ে উঠেছে মেলা। প্রতিটি স্টলেই ক্রেতাদের
আনাগোনা রয়েছে। গহনা, খেলনা, গৃহস্থালি পণ্য আর মুখরোচক খাবারের স্টলে বিক্রি হচ্ছে বেশি। মেলার
অন্যতম আকর্ষণ চাঁদপুর মৃৎশিল্পের স্টলে। চমৎকার সব মৃৎশিল্প ও শোপিস সামগ্রী সাজানো রয়েছে। তরুণরা
ভিড় করছেন সেলফি তুলতে। রীতিমতো নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘ছবি তোলা নিষেধ।
মেলায় সপরিবারে এসেছেন নাসিমা খাতুন। তিনি বলেন, বিজয় মেলায় প্রবেশে টিকিট কিনতে হয় না। কম দামি
থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের পণ্যের সমারোহ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভিড় বেশি, ছুটির দিন হলে ভিড়
উপচে পড়ে। ভিড় এড়াতে চাইলে সকাল বেলা বা রাত ৯টার পর আসতে হবে।
কয়েকজন দোকানি জানান, অন্য যেকোনো বছরের চেয়ে এবার মেলা বেশি জমজমাট। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে
পণ্যসামগ্রী নিয়ে ব্যবসায়ীরা এসেছেন মেলায়। বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। বিজয় দিবসের আগে ও পরে আরও
বেশি বেচাকেনা হবে।
ঢাকা, বাংলাদেশ |
শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
শিরোনামঃ
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও
কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।