ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েল বাহিনীর মধ্যে গতকাল বুধবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। এরপর কাতারের আমির আনুষ্ঠানিক এ চুক্তির ঘোষণা দেন। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হওয়ার পরও গাজায় হামলা চালিয়েছে দখলদার সেনারা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের আমিরের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ৮০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল। এরমধ্যে শুধুমাত্র গাজা সিটিতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ জন।
আলজাজিরা অ্যারাবিকের সংবাদদাতা আরও জানিয়েছেন, গাজা সিটির ইঞ্জিনিয়ার্স ইউনিয়ন বিল্ডিংয়ের কাছের একটি ভবনে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই হামলায় নিহত হয় ১৮ ফিলিস্তিনি। অপরদিকে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গাজা সিটির রেদওয়ান এলাকা থেকে ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে তারা।
এছাড়া মধ্য গাজার বুরুজি ক্যাম্পের কারাজ এলাকায় ড্রোন হামলায় নিহত হন আরও পাঁচজন। নিহতরা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন।
গতকাল হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা শোনার পর গাজার সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তারা আনন্দ উল্লাস করতে থাকেন। তবে কিছুক্ষণ পরই ইসরায়েলি হামলার আশঙ্কায় বাসিন্দারা আবারও নিজ নিজ তাঁবুতে ফিরে যান।
আলজাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ মধ্য গাজার দের এল-বালাহ থেকে বলেছেন, কয়েক ঘণ্টার জন্য পুরো এলাকাটিকে উৎসবের কেন্দ্রে পরিণত করেন সাধারণ মানুষ। যেটি আমরা এখানে দেখিনি। কারণ এই স্থানটিতে নিহতদের জানাজার নামাজ হতো। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কার্যকারিতা যেহেতু রবিবারের আগে শুরু হবে না, তাই গাজার মানুষের শঙ্কা ইসরায়েলিরা শেষ মুহর্তে হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি ড্রোন ও কামান হামলা বৃদ্ধি পাবে। আর এ কারণে মাত্র দুই ঘণ্টা পর সাধারণ মানুষ উদযাপন থামিয়ে দিয়েছেন।
গাজা সিটি থেকে আলজাজিরার অপর সাংবাদিক আনাস আল-শরীফ বলেছেন, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর সাধারণ মানুষ খুব খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু ইসরায়েলি বিমান হামলার পর এখানকার মানুষের কাছ থেকে এ খুশি চলে গেছে।