এক স্কুলে দুই প্রধান শিক্ষক। গভর্নিং বডির সভাপতি আর এক প্রধান শিক্ষক দিয়েছেন পাল্টাপাল্টি ছুটির ঘোষণা। এমন কাণ্ডই ঘটেছে রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে।
এতে অনিশ্চতায় পড়েছেন ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর জীবন। বিভ্রান্তিতে রয়েছেন অভিভাবকরা। আর শিক্ষা বোর্ড বলছে, প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেনের নিয়োগ অবৈধ আর গর্ভনিং বডির সভাপতির ছুটি দেয়ার ক্ষমতা নেই।
রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ রয়েছে ৪০ হাজার শিক্ষার্থী। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক পদ ও ছুটি নিয়ে চলছে নানা অলোচনা-সমালোচনা। প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেনের চাকরির মেয়াদ ২০২০ সালের ২ জুলাই শেষ হলেও আবারও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তিনি।
এ নিয়োগ নিয়ে তদন্ত শেষে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেনের নিয়োগ অবৈধ। তাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর সিনিয়র শিক্ষক জাকির হোসেনের কাছে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশনা দেয়।
কিন্তু দায়িত্ব হস্তান্তরের পরিবর্তে সাবেক প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেন তালাবদ্ধ করে রেখেছেন প্রধান শিক্ষকের কক্ষ।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গত ৯ মার্চ একদিনের ছুটি ঘোষণা করেন প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন। কিন্তু গভর্নিং বডির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ১৫ মার্চ পর্যন্ত জারি করেন পাঁচ দিনের ছুটির নোটিশ। তাই পাল্টাপাল্টি ছুটির নোটিশে বিভ্রান্তিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
এ বিষয়ে জানতে স্কুলে গিয়ে সাবেক প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেনের কক্ষ তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। আর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন জানান, একদিনের ছুটির পর রোববার খুলবে স্কুল।
আর গভর্নিং বডির সভাপতির স্কুল ছুটির দেয়ার এখতিয়ার নেই বলেও জানান ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
এছাড়া এখতিয়ার বহির্ভূত ছুটির দেয়ার গভর্নিং বডির সভাপতি দেলোয়ার হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বোর্ড। সন্তোজনক জবাব না পেলে দেলোয়ার হোসেন নেতৃত্বাধীন গভর্নিং বডি ভেঙে দেয়ার কথা জানিয়েছেন বোর্ড চেয়ারম্যান।