চমেক এ বহিষ্কার ৭ শিক্ষার্থী,বৃহস্পতিবার অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) হোস্টেলের কক্ষে শিবির সন্দেহে চার ছাত্রকে বেঁধে রেখে
নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির সাত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এমবিবিএস ৫৯তম ব্যাচের অভিজিৎ দাসকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে একই ব্যাচের রিয়াজুল ইসলাম জয়, এমবিবিএস ৬২তম ব্যাচের সাজু দাস ও
সৌরভ দেবনাথকে ২ বছরের জন্য এবং একই ব্যাচের মাহিন আহমেদ,
জাকির হোসেন সায়েল ও ইব্রাহিম খলিল সাকিবকে দেড় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কারাদেশ ছাড়াও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ফটকে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও
হোস্টেলগুলোতে একজন হোস্টেল সুপারের পরিবর্তে একাধিক হোস্টেল সুপার নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে একমত হন কমিটির সদস্যরা।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন,
ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি প্রমাণ পেয়েছে।
তাই অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে চার ছাত্রকে পর্যায়ক্রমে পেটানোর অভিযোগ ওঠে।
ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে যুক্ত সন্দেহে এই চার ছাত্রকে চমেক শাখা ছাত্রলীগের
একটি অংশের নেতা-কর্মীরা মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
তবে শিক্ষার্থীদের পরিবার থেকে জানানো হয়, এ শিক্ষার্থীরা কোনও
রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন। তারা পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন।
One Reply to “চমেক এ বহিষ্কার ৭ শিক্ষার্থী, অ্যাকা: কাউ: সিদ্ধান্ত”
Comments are closed.