রাজধানীতে সায়েন্সল্যাবের একদিন পর রাজধানীর গুলিস্তানে বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ডের পাশে বিস্ফোরণের এ ঘটনায় ক্রমাগত বেড়ে চলেছে লাশের সংখ্যা। এ দুঘর্টনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ; আহত দুই শতাধিক।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তখন নর্থসাউথ সড়কের দুই পাশেই যান চলাচল করছিলো। বিস্ফোরণের পর সড়কের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত অবস্থায় অনেক মানুষ পড়েছিলেন। তাদের অধিকাংশই তখন সড়ক দিয়ে চলাচল করছিলেন। তাছাড়া কেউ বাসের যাত্রী, কেউ রিকশা-ভ্যানে ছিলেন, কেউ কেউ দোকানে এসেছিলেন কেনাকাটা করতে।
প্রসঙ্গত, বিস্ফোরণের পর ধারণ করা কয়েকটি ভিডিও সরবরাহ করেছেন সোহরাব হাসান। তার মধ্যে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সড়কে একটি নিথর দেহ পড়ে আছে।
আরেকটি ভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয়রা আহত কয়েকজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ভ্যানে করে হাসপাতালে পাঠাচ্ছেন।
বিস্ফোরণের এ ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তাদের বেশিরভাগকেই বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ভবন থেকে মৃত বের করে আনা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, বিস্ফোরণ হয়েছে নর্থসাউথ রোডের ১৮৪ নম্বর ভবনে। ভবনটি সাততলা। ভবনের বেজমেন্ট, নিচতলা ও দ্বিতীয় তলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ভবনের উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক দিনমনি শর্মা বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ভবনের বেজমেন্টে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব নয়। তাই উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার সকালে সেনাবাহিনী এলে ফের উদ্ধারকাজ শুরু হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সাততলা ভবনটির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার সামনের অংশ ভেঙে মূল সড়কে এসে পড়েছে।
সাততলা ভবনটির উত্তর পাশে ১৮০ নম্বর ভবন। এ ভবন পাঁচতলা। ভবনের নিচতলার একটি দোকান পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এ ভবনেরও প্রতি তলার জানালার কাচ ভেঙে পড়েছে। বিস্ফোরণ স্থলের ভবন লাগোয়া দক্ষিণ পাশের সাততলা আরও একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই ভবনের নিচতলার সিঁড়ির অংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে।
এদিকে, গতকাল রাত থেকেই স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর শুরু হয়েছে। রাত পৌনে ১২টার মধ্যে দুজনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের লাশ প্যাকেটবন্দী করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে।