বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ।
আজ সকাল সাড়ে নয়টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫৮ নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় ছিল।
তবে ঢাকার চেয়ে এর পাশের দুই জেলা কুমিল্লা ও শেরপুরের বাতাস বেশি দূষিত। কুমিল্লার স্কোর ১৭৩ আর শেরপুরের স্কোর ২০২।
আজ সকাল সাড়ে নয়টায় ইরাকের রাজধানী বাগদাদ বিশ্বের বায়ুদূষণের শীর্ষে, স্কোর ২০৩।
১৬৫ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের দ্বিতীয় স্থানে আছে চীনের শেনইয়াং,
তৃতীয় স্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের স্কোর ১৬৪।
আর ১৬২ স্কোর নিয়ে ভারতের কলকতা আছে চতুর্থ স্থানে। পঞ্চম স্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ১৬২। কাজাখস্তানের আস্তানা শহর আছে সপ্তমে, স্কোর ১৫৮।
ঢাকায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী।
জানুয়ারিতে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ ধারা এখনো অব্যাহত।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত,
সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়।
আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়।
আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি—বছরের চার মাস ঢাকার বায়ু বেশি দূষিত থাকে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে বায়ুর মান থাকে সবচেয়ে বেশি খারাপ।