ঢাকা, বাংলাদেশ | শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

শিরোনামঃ

   রাজধানীতে বাসের কাচ ভেঙে স্পেশাল ব্রাঞ্চের রিপোর্টারের মৃত্যু    যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান    কুড়িগ্রামে লাইজু কিডস ফুটবল একাডেমীর আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।     পয়েলা বৈশাখে ওড়ানো যাবে না ফানুস    ইসলামী শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও ইফতার মাহফিল করলো মানব কল্যাণ পরিষদ    ৫ কেজি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকায় মিলছে!    রাজবাড়ীতে অ্যাম্বুলেন্সে দুর্বৃত্তের আগুন    চিকেন বারবিকিউ তৈরি করবেন যেভাবে    ফিরে পেলেন ১১ বছর আগে হারানো সন্তান, ওমরাহ পালনে গিয়ে    অন্তঃসত্ত্বা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পরিণীতি    ২৩৮ বার হেরেও ফের নির্বাচনে লড়বেন তিনি    জন্মের পরেই এত বড়লোক রাহা! ২৫০ কোটি রুপির বাংলো উপহার দেবেন আলিয়া-রণবীর    ব্যবহৃত অলংকারের জাকাত দিতে হবে কি?    ১৩.৬৪ সেকেন্ডে ১ লিটার লেবুর শরবত খেলেন ডেভিড    জুমার দিন দরুদ পড়ার ফজিলত

বরিশালের তিন নদীর পানি আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। অন্যান্য নদীর পানিও বিপৎসীমা ছুই ছুই করছে। হঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের সময় তলিয়ে যাচ্ছে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল। অমাবশ্যার জোয়ারের প্রভাবে সাময়িক নদী পানি বৃদ্ধি পেলেও সহসাই পানি কমে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার।

বুধবার সকালে প্রেরিত বরিশাল পাউবো’র হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার বিকেল পৌঁনে ৪টার দিকে ভোলার তজুমুদ্দিন পয়েন্টে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৮৩ মিটার) ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই দিন বেলা পৌঁনে ১২টায় বরগুনার পাথরঘাটা পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৮৫ মিটার) ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ওইদিন বরিশাল বিভাগের আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমা ছুই ছুই করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার ভোলার দৌলতখান পয়েন্টে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা (৩.৪১ মিটার) ছুই ছুই করে ৩.৪০ মিটার উচ্চতায়, ভোলা খেয়াঘাট পয়েন্টে তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৯০ মিটার) ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ঝালকাঠী পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার (২.০৮) ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ পয়েন্টে বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৮১ মিটার) ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বরগুনা পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৮৫ মিটার) ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, পিরোজপুর পয়েন্টে বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৬৮ মিটার) ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৬৫ মিটার) ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং নগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৫৫) ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের সময় প্রতিদিন দুইবার ডুবছে বরিশালের বিস্তির্ণ নিম্নাঞ্চল। আবার ভাটির সময় পানি নেমে যাচ্ছে। এতে ওই সব এলাকায় কৃষি জমির ফসল বিনষ্ট হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়ছে জনসাধারণ।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার জানান, অমাবশ্যার জোয়ারের প্রভাবে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজানে পানি বাড়ার কোন পূর্বাভাস নেই। সহসাই নদীর পানি কমে যাবে বলে তারা আশা করছেন।

 

 


প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও
কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।