নারায়ণগঞ্জ জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুলতান মাহমুদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয়দানকারী কামাল প্রধানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক।
নির্দেশনার পর থেকে ভেজাইল্যা সুলতান ও প্রতারক কামাল পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, জেলা প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের পরিচয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে এবং
বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করে চলেছে। জনস্বার্থে মাসুম সিকদার নামে এক ভুক্তভোগী চাঁদাবাজ সুলতান মাহমুদ
ও প্রতারক কামাল প্রধান এর বিরুদ্ধে গত ২৯ মার্চ একটি আবেদন করে। যার স্মারক নং-৪৭৪৯।
উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের পক্ষে সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ম্যাজিস্ট্রেট)
নুসরাত আরা খানম ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের নামধারী চাঁদাবাজ সুলতান মাহমুদ ও
চিহ্নিত প্রতারক কামাল প্রধানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারকে নিদের্শনা দেন। যার স্মারক নং-৪০৮।
আরো জানা যায় সুলতান সোনারগাঁয়ের হেফাজত মামলার এজাহারভুক্ত আসামী।
সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলা নং-১৩, তারিখ ঃ ৯ এপ্রিল ২০২১।
আর কামাল প্রধানের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় জাল দলিল ও ভুয়া টিপসই এর প্রতারনা মামলা নং-৪৫, তাং-৩১/১০/২০১৯।
টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারনার আরেকটি মামলায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় রয়েছে যার মামলা নং-৩৬, তাং-১৬/০৮/২০২১।
এছাড়াও আরো একাধিক মামলা রয়েছে। কামাল প্রধান নিজেকে কয়েকটি নিবন্ধনহীন ভুয়া পত্রিকার পরিচয়সহ নিজেকে রেমিটেন্স যোদ্ধা বলে সরল মানুষদের বিদেশে নেওয়ার কথা বলে মানুষের সাথে অহরহ প্রতারনা করছে।
আগামী ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি চেক ডিজঅনার মামলায় রায় হওয়ার কথা রয়েছে কামাল প্রধানের বিরুদ্ধে।
উল্লেখিত প্রতারক চক্র বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে নামে বেনামে চিঠি দিয়ে বিব্রতসহ জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন দপ্তরে কাল্পনিক অভিযোগ করে ফেসবুকে জনসাধারণের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
গত ৪ এপ্রিল পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেওয়ার পর থেকে সুলতান মাহমুদ ও কামাল প্রধান নিজেদেরকে আত্মগোপনে রেখে পলাতক রয়েছে আর তাদের ফেসবুক আইডিতে প্রপাকান্ড ছড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন:
2 Replies to “নারায়ণগঞ্জ এ ভেজাল প্রতিরোধের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা”
Comments are closed.