আলোচিত রানা প্লাজা ধসের ১০ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ সোমবার। সেই দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকরা যথাযথ চিকিৎসা করাতে পারছেন না টাকার অভাবে।
রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছে নিহতের স্বজন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
রোববার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভারের রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী শহীদ বেদিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিহত শ্রমিকদের স্মরণ করা হয়।
এ সময় ভবন ধসের ঘটনায় নিহত শ্রমিক ও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য চার দফা দাবি জানান বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
দাবিগুলো হলো, শ্রমিকের এক জীবনের আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ, রানা প্লাজার জমিটি বাজেয়াপ্ত করে হতাহত শ্রমিকদের স্থায়ী পুনর্বাসন,
বিনামূল্যে আজীবন চিকিৎসা ও রানা প্লাজার মালিকের দ্রুত বিচার।
শ্রমিক নেতারা বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার দশ বছর পূর্ণ হলেও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত হয়নি। এখনো অনেক শ্রমিক দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দুর্ঘটনা নয়, এটি হত্যাকাণ্ড। আমরা দ্রুত দোষীদের শাস্তি চাই।
এ সময় এই দিনটিকে পোশাক শিল্পে শোক দিবস ঘোষণার দাবিও জানান তারা।
মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু,
গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন,
বিল্পবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অরবিন্দু ব্যাপারীসহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে এই ভবন ধসে প্রায় এক হাজার ১৭৫ জন শ্রমিক নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হন।
আরও পড়ুন:
One Reply to “রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১০ বছর আজ”
Comments are closed.