নওগাঁর হাটগুলোতে ধানের সরবরাহ বেড়েছে। যার অজুহাতে মিলাররা দর কমিয়ে দিচ্ছেন।
ফলে সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি মণ ধানের দাম ১২০ টাকা কমেছে।
বুধবার (২৪ মে) নওগাঁর মহাদেবপুর হাটের সরেজমিনে দেখা যায়, ধান বেচাকেনায় জমজমাট হাট।
গত কয়েকদিনের তুলনায় এখানে ধানের জোগান বেড়েছে। তবে ধানের সরবরাহ বাড়লেও ভালো দাম না পাওয়ার দাবি করছেন কৃষকরা।
কারণ এক সপ্তাহের প্রকারভেদে প্রতি মণ ধানের দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
এ হাটে প্রতি মণ জিরাশাইল ১ হাজার ২০০ টাকা, কাটারি ১ হাজার ২২০ টাকা, সুবলতা ১ হাজার ১৫০ টাকা,
ব্রি ধান-৯০ ১ হাজার ২৫০ টাকা, গোল্ডেন আতপ ১ হাজার ৫০ টাকা, হাইব্রিড ৯৫০ টাকা এবং ১ হাজার ২৫০ টাকা।
ধানের দামে হতাশ এক কৃষক বলেন, গত মৌসুমে যে ধান আমরা ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি,
তা এ বছর হঠাৎ করে ১ হাজার টাকায় নেমে এসেছে। এ অবস্থায় আমাদের কৃষক কাজ ছেড়ে ভিক্ষা করার উপক্রম হয়েছে।
ধানের বাজারে সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন, এমন অভিযোগ করে আরেকজন কৃষক বলেন, আমরা এত কষ্ট করে উৎপাদন করছি। কিন্তু লাভ করছেন ব্যবসায়ীরা।
তার সত্ত্বেও এখানে কোনো প্রতিবাদ নেই। সার-কীটনাশকসহ সব ধরনের কৃষি উপকরণের দাম বেশি। কিন্তু বাজারে সে অনুসারে দাম পাচ্ছি না।
এদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ধানের দাম কম দেয়ার পেছনে নানা অজুহাত দিচ্ছেন।
এক ব্যবসায়ী বলেন, আগের কোম্পানিগুলো ভালো দামে ধান কিনত।
কিন্তু এখন তারা ভালো দাম না দেয়ায় আমাদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জেলায় ৫টি করপোরেট প্রতিষ্ঠান, ৪টি অটো ও সাড়ে সাতশ’ হাসকিং মিল রয়েছে।
চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে, যা থেকে প্রায় ১২ লাখ টন ধান কৃষকের ঘরে উঠেছে।
আরও পড়ুন :