আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও প্রতিবছর রমজান মাসে অস্বাভাবিক হারে বাড়ে পেঁয়াজের দাম। এসময় পেঁয়াজের চাহিদা অন্য সময়ের তুলনায় কিছুটা বেশি হওয়ায় সুযোগ কাজে লাগিয়ে দাম বাড়ায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। তাই আসন্ন রমজানে এসব ব্যবসায়ীর ঠেকাতে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ সাধারণ ব্যবসায়ীদের।
দিনাজপুর জেলার হিলি স্থলবন্দর। দেশের পেঁয়াজ আমদানি একটি বড় অংশের চালান আসে এ বন্দর দিয়ে। তবে বছর জুড়ে ক্রেতাদের নাগালে থাকলেও দুই ঈদকে কেন্দ্র করে হিলিতে অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারতীয় পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা এই সময় সিন্ডিকেট করে রফতানি কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি আমদানির পর বন্দরে দাম স্বাভাবিক থাকলেও বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে বেড়ে যায় দাম।
তাই বাজারে পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দেন ব্যবসায়ী নেতারা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক মতিউর রহমান লাবু বলেন, ডলারের দাম কম থাকলে পেঁয়াজ বেশি আমদানি করা যায়। তবে ডলার সংকট কিছুটা ঠিক হলেও সিন্ডিকেটের কারণে রফতানি কমে গেছে। এতে দাম বাড়ছে পেঁয়াজের।
আর হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, মূলত মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজিতে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান তিনি।
প্রতিবছর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গড়ে দেড় লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন।