বেনাপোল স্থলবন্দরের উন্নয়নকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। তিনটি প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩৪০ কোটি টাকা। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে একটি আধুনিক স্থলবন্দরে রূপান্তরের পাশাপাশি ব্যবসার গতি অনেকগুণ বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বেনাপোল স্থলবন্দরকে আধুনিক করতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ২৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪ একর জমির ওপর চলছে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণকাজ। বন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরের চারপাশে নির্মাণ হচ্ছে উঁচু প্রাচীর। আর ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরে বসানো হচ্ছে ৩৭৫টি সিসি ক্যামেরা। যার কাজ প্রায় কাজ শেষপর্যায়ে।
আগামী জুনের মধ্যে টার্মিনাল নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএসআর গ্রুপ। এটি চালু হলে একসঙ্গে রাখা যাবে সাড়ে ১২০০ ট্রাক। এসএসআর গ্রুপের প্রকল্প প্রকৌশলী মশিয়ুর রহমান বলেন, ‘চলতি বছরের জুনের মধ্যে আমাদের নির্মাণকাজ শেষ হবে। এতে আশা করছি, এ বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে আরও গতি আসবে।’
এদিকে বন্দর উন্নয়নকাজে খুশি ব্যবসায়ীরা। তবে নির্মাণকাজের গুণগতমান যেন ঠিক থাকে, সেদিক্ষে লক্ষ রাখার দাবি করেছেন তারা। এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের একটিই দাবি সেটি হচ্ছে উন্নয়নমূলক কাজগুলো যেন টেকসই হয়।’
সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন বেনাপোলের আন্তর্জাতিক চেকপোস্টবিষয়ক সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ বিপুল বলেন, ‘দ্রুত বন্দরের নির্মাণকাজ শেষ হলে আমাদের ভারত-বাংলাদেশের সড়কপথে স্থলবন্দরকেন্দ্রিক যে বাণিজ্য রয়েছে, সেটি ত্বরান্বিত হবে। ফলে আমরা এর সুফল ভোগ করতে পারব।’
বন্দরের উন্নয়নকাজ শেষ হলে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে আরও গতি আসবে বলে মনে করেন বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবদুল জলিল।
তিনি বলেন, ‘বেনাপোল স্থলবন্দরকে আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আমরা জমি অধিগ্রহণ করেছি। উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো সম্পন্ন হলে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানির গতিশীলতা আরও বহুগুণ বাড়বে।’
উল্লেখ্য, বেনাপোল বন্দরের ১২৭ একর জমির ওপর ৩৪টি পণ্যাগার, একটি ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড এবং আমদানি ও রফতানির জন্য আলাদা একটি করে ট্রাক টার্মিনাল রয়েছে। প্রতিবছর এই বন্দর থেকে গড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়।