রাশিয়া থেকে পশ্চিমা কোম্পানিগুলো ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ায় মস্কোর প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বেইজিং। এতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পর চীনা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এখন ক্রমশ দখল করে নিচ্ছে রাশিয়ার বাজার।
ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে চীনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের সমীকরণ বদলেছে। রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক উভয় দিক থেকেই দেশ দুটি এখন একে অপরের বন্ধু। এমনকি চীন-রাশিয়ার সীমাহীন বন্ধুত্বের একটি সমঝোতাতেও সই করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এদিকে পশ্চিমা দেশগুলো যখন রুশ জ্বালানির ওপরে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলেছে, তখন চীনের কাছে বিক্রি বাড়িয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া। আবার পশ্চিমা কোম্পানিগুলো ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ায় রাশিয়ার প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চীন। অবশ্য এ ক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীন উভয়ই লাভবান হচ্ছে।
রাশিয়ার বাজারে আগে পশ্চিমাদের আধিপত্য থাকলেও নিষেধাজ্ঞার পর চীনা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এখন ক্রমশ দখল করে নিচ্ছে সেই বাজার। যার ফলে দুই দেশের বাৎসরিক বাণিজ্য এখন ২০ হাজার কোটি ডলারের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে চীন থেকে কম্পিউটার, মুঠোফোন ও গাড়ি আমদানি করছে রাশিয়া। রাশিয়া ও চীনের মধ্যকার এ অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বেইজিং এ নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ইগোর মোরগুলভ।
চীনের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক যেভাবে ঝড়ের গতিতে বাড়ছে সেটা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নিষেধাজ্ঞার চাপে এক হাজারেরও বেশি পশ্চিমা কোম্পানি রাশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। এ কারণে চীনের জন্য রাশিয়ার বাজারে ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমা কোম্পানিগুলো চলে যাওয়ায় রাশিয়ার বাজারে সৃষ্ট শূন্যস্থান পূরণ করছে চীনা কোম্পানিগুলো।
3 Replies to “রাশিয়ার বাজারে শূন্যস্থান পূরণ করছে চীন!”
Comments are closed.