বাংলাদেশে আসার জন্য কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না পর্যটকদের ভিসা জটিলতা।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়া মাত্র ২০টি দেশের নাগরিকরা এখানে আসতে সহজলভ্য অন অ্যারাইভাল ভিসা পান।
এর বেশিরভাগই আবার আফ্রিকান দেশ। বাকি অন্যান্য দেশের নাগরিকদের এখানকার ভিসা পেতে নানা বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।
এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে প্রথমেই দরকার এ ভিসা জটিলতা কমানো।
বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত ‘কক্সবাজার’ কিংবা সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি ‘সুন্দরবন’ সবই বাংলাদেশে।
পাশাপাশি এখানে আছে মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারসহ প্রায় এক হাজার ৭শ পর্যটন স্পট।
এত সম্ভাবনা থাকার পরও, অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ পর্যটন খাতে অনেকটাই পিছিয়ে।
আর এর অন্যতম কারণ বিদেশি পর্যটকদের ভিসা জটিলতা। বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে বাংলাদেশের ৮১টি কূটনৈতিক মিশন চালু রয়েছে।
পর্যটন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ভিসা পেতে দেরি, অন অ্যারাইভাল ভিসা না থাকাসহ বেশকিছু কারণে পর্যটকরা বাংলাদেশে আসতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে পর্যটন ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ নাফিজ ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য ভিসা পদ্ধতি সহজ করতে হবে।
‘এক্ষেত্রে অন অ্যারাইভাল ভিসা ১৫ থেকে ৩০ দিনের জন্য ৫০ ডলারের বিনিময়ে দেয়া যায়।
আমরা এটি একতরফাভাবে করতে পারি। কেননা, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সাহায্য করবে।
এসব নিয়ে যারা কাজ করেন যেমন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তাদের এ বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশের পাশাপাশি প্রায় ২০টি দেশের নাগরিকরা বাংলাদেশে অন অ্যারাইভাল ভিসা পেলেও অন্য দেশগুলোর সঙ্গে ভিসা নিয়ে রয়েছে নানা জটিলতা।
এদিকে পাশের দেশ ভুটান অন অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা পেলেও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানসহ কোনো প্রতিবেশী দেশই নেই এ তালিকায়।
এর কারণ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে, ভিসা জটিলতা কমলে পর্যটক বাড়ার পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগও বাড়বে।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে;
যাতে করে কোনো ব্যক্তিকে বা পর্যটককে ভিসার জন্য কষ্ট করতে না হয়। এক্ষেত্রে মূলত আমাদের সদিচ্ছা দরকার।
আরও পড়ুন :
One Reply to “পর্যটকদের পিছু ছাড়ছে না ভিসা জটিলতা”
Comments are closed.