দেশের উত্তরাঞ্চলের জ্বালানি সংকট কাটাতে চালু হচ্ছে ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন। প্রথমবারের মতো অন্য দেশ থেকে সরাসরি পাইপলাইনে দেশে আসছে জ্বালানি তেল। এতে জ্বালানি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে উত্তরের ১৬ জেলার মানুষ।
আলোর মুখ দেখছে দেশের উত্তরাঞ্চল। পাশাপাশি একের পর এক মাইলফলকে পৌঁছাচ্ছে দেশ। এবার জ্বালানি সংকট কাটাতে ভারত থেকে পাইপলাইনে সরাসরি দিনাজপুরে আসছে ডিজেল।
চলতি মাসের ১৮ মার্চ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তেল আনার এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সরবরাহ শুরু হলে দীর্ঘদিনের জ্বালানি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে উত্তরাঞ্চলের মানুষ।
একে যুগান্তকারী স্বপ্নের বাস্তবায়ন উল্লেখ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ভারত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনে বছরে ভারত থেকে আসবে ১০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল।
এছাড়া এ পাইপলাইন দিয়ে ডিজেল আমদানিতে ব্যারেল প্রতি ৫ দশমিক ৫০ ডলার খরচ হবে বলেও জানান তিনি। আগে চট্টগ্রাম-খুলনা বন্দর থেকে সড়কপথে তেল আনতে প্রতি ব্যারেলে ব্যয় হতো প্রায় ১১ ডলার।
স্থানীয়রা জানান, আমদানি শুরু এলাকার তেল সরবরাহ ভালো থাকবে। এছাড়া কৃষিখাতেও বিপ্লব ঘটবে বলে জানান তারা।
আর পেট্রোল পাম্প মালিক গ্রুপের সহ-সভাপতি মেনহাজুল হক বলেন, পাইপলাইন চালু হলে তেল সংকট কেটে যাবে। পাশাপাশি কমবে পরিবহন খরচও।
ভারতের শিলিগুড়ি নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) ও বাংলাদেশ মেঘনা পেট্রোলিয়ম লিমিটেড যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। নুমালীগড় রিফাইনারি থেকে পঞ্চগড় ও নীলফামারী হয়ে ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন দিয়ে সরাসরি পার্বতীপুরের রেলহেড ডিপোতে আসবে ডিজেল।
এর আগে ২০১৮ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর সমঝোতা সইয়ের পর শুরু হয় পাইপলাইন বসানোর কাজ।