টানা দুই মাসের লোডশেডিংয়ে নরসিংদীর শিল্পকারখানার উৎপাদন কমেছে ৩০ শতাংশ।
শিল্পখাতে দিনে বিদ্যুৎ থাকছে না চার থেকে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত। এতে মালিকদের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকরাও।
নরসিংদীর রায়পুরা, আমীরগঞ্জসহ ছয় উপজেলায় গত দুই মাস ধরে দিনে চার থেকে ছয় ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এতে বন্ধ থাকছে কারখানার মেশিন। অলস সময় পার করছেন শ্রমিকরা।
এতে জেলার প্রায় ১২ হাজার শিল্প কারখানার উৎপাদন কমেছে ৩০ শতাংশ।
যারা জেনারেটর দিয়ে মেশিন চালাচ্ছেন তাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ।
এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে উৎপাদন বিপর্যয়ের আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
কারখানা মালিকরা জানান, প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া জেনারেটর দিয়ে উৎপাদন করায় বাড়ছে খরচ।
প্রতি ইউনিটে বিদ্যুৎ বিল আসে ১০ টাকা, আর জেনারেটর দিয়ে উৎপাদন কাজ চালালে প্রতি ইউনিটে খরচ হয় ২০ টাকা।
এদিকে লোডশেডিংয়ে কারণে বিপাকে জেলার প্রায় ৫ লাখ শ্রমিকও। উৎপাদন কমে যাওয়ায় তাদের আয় কমেছে ৪০ শতাংশ।
শ্রমিকরা বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় অলস সময় কাটাতে হচ্ছে। এতে কমছে আয়-রোজগার।
তবে লোডশেডিংয়ের বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কোনো কথা বলতে রাজি না পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা।
প্রশ্ন করলে উল্টো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। তারা জানান, এ বিষয়ে কথা বলতে হলে আগে অনুমতি নিতে হবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।
নরসিংদীতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীনে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা রয়েছে ২১০ মেগাওয়াট।
আরও পড়ুন :