বর্তমান সরকারের ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার খায়েশ জেগেছে। সেই নীলনকশা নিয়েই সরকার এগোচ্ছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো একই কায়দায় ২০২৩ সালের নির্বাচন করতে চায় সরকার। কিন্তু জনগণ এবার তা হতে দেবে না। উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করে জনগণ এদের পরাজিত করবে।
শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় যাত্রাবাড়ী থেকে টঙ্গীর আবদুল্লাহপুর ব্রিজ পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার সড়কে উক্ত মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এছাড়া সারা দেশে সব জেলা ও মহানগরে একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।
আজকে দেশে, আন্তর্জাতিকভাবে নামকরা পত্রিকাগুলো বলতে শুরু করেছে। গার্ডিয়ান বলছে, বাংলাদেশের উন্নয়নের ফানুস দুর্নীতির কারণে চুপসে গেছে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটু কথা বলতে চাই। আজকে মন্ত্রীরা বলেন, ওটা (তত্ত্বাবধায়ক) চলে গেছে কবরস্থানে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন চারটা নির্বাচন হয়েছিল শান্তিপূর্ণভাবে এবং সবাই মেনে নিয়েছিল।
কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্যে শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে এখন দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা ১৯৯৬ সালে জামায়াত এবং জাতীয় পার্টিকে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ১৭৩ দিন হরতাল করেছিলেন। গানপাউডার দিয়ে শেরাটনের সামনে বাস পুড়িয়ে ১১ জনকে হত্যা করেছিলেন।
এখন শুধু কথায় কথায় বলেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য নাকি আপনারা আমাদের পাহারা দেন। আপনারা সেদিন ১৭৩ দিন অগ্নিসন্ত্রাস করেছেন। লগি-বইঠা দিয়ে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।’
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া জামাতের বার্ষিক জলসায় হামলার ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।
ভারতের আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিদ্যুতের অসম চুক্তির সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি। এ চুক্তি কোনোমতেই বাংলাদেশের পক্ষে যেতে পারে না।
এখন আন্তর্জাতিকভাবেও প্রশ্ন উঠেছে— কীভাবে সরকার এই চুক্তি করল। তারা এটা করেছে এই জন্য যে তারা ঘুস দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। মানববন্ধনে বিএনপিসহ এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন।