বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলনের গত ছয় মাসের ক্রমধারা এটি। যেন দৌড়ে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল বিএনপি।
মাঝখানে কিছুটা উত্তাপ ছড়িয়েছিল আলোচিত ১০ ডিসেম্বর।
গত বছরের মাঝামাঝি আন্দোলন শুরু করেছিল বিএনপি।
ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশের আগে দলের মহাসচিবসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার গতি বদলে দেয় সেই আন্দোলনের।
১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশ থেকে গণবিক্ষোভের মতো কর্মসূচির ঘোষণা বাস্তবে আন্দোলনের রাশ টেনে ধরে।
আজ সারা দেশের সব জেলা ও মহানগরে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা মানববন্ধন করবে দলটি।
উত্তপ্ত ওই সময়টি সরকার পতন আন্দোলনে যাওয়ার উপযুক্ত সময় ছিল বলে মনে করেন তাঁরা।
পল্টন থানা বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন মনে করেন, সময়ের কাজ সময়ে করতে পারেনি তাঁর দল।
বড় আন্দোলনের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। তবে বিএনপি এখনো শক্ত আন্দোলনের সুযোগ খুঁজছে বলে বিশ্বস করতে চান তিনি।
চলমান কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নীতিনির্ধারক বলেন, ‘আমরা ২০১৪-১৫ সালের মতো হঠকারী আন্দোলন করতে চাই না।
আমাদের হাতে সময় আছে। বড় আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি করার জন্য সারা দেশে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে আমরা কর্মসূচি দিচ্ছি।
কোনো না কোনো পর্যায়ে আন্দোলন দানা বাঁধবে।’
গত ৪ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে এক সমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘এবার ইউনিয়ন পর্যায় থেকে আমরা পদযাত্রা শুরু করব।
ধীরে ধীরে উপজেলা, জেলা, মহানগর এবং এরপর ঢাকামুখী লং মার্চের মাধ্যমে সরকারের ক্ষমতার মসনদ জনগণ দখল করে নেবে।’
কিন্তু গত কয়েক মাস দেশব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচি দেখে মনে হচ্ছে ‘শক্ত আন্দোলনের প্রেক্ষাপট’ তৈরি করা দিন দিন শক্ত হয়ে উঠছে। ফলে আন্দোলনের কৌশল পরিবর্তন করতে হচ্ছে বিএনপিকে।
One Reply to “সারা দেশে আজ বিএনপির পদযাত্রা এবং শেষমেশ মানববন্ধন”
Comments are closed.