ঢাকা, বাংলাদেশ | রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

শিরোনামঃ

   আজ শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন    ধান কাটতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু    চীনে গুয়াংজৌতে টর্নেডোর তাণ্ডবে নিহত ৫, আহত ৩৩    দেশে আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি    চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার উপায়    জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামিকে জেতালেন লিওনেল মেসি    যে কারণে আল্লাহ বৃষ্টি বন্ধ করে দেন    ইরাকি জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গুলি করে হত্যা    রাজধানীতে মোটরসাইকেল চালক নিহত বাসের ধাক্কায়    কম্বোডিয়ায় সেনা ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে নিহত ২০ সেনা    অনুমতি ছাড়া হজ করলে পাপ করা হবে, জানালেন সৌদি আরব    ইন্দোনেশিয়ায় ৬ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প    ৯ থেকে ১১ মে’র মধ্যে এসএসসি ফল প্রকাশ    প্রচণ্ড গরমে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব, রংপুরের পোল্ট্রি শিল্পে    বাংলাদেশসহ ছয় দেশে পিঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত

দুই মাস আগেও ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। সেই মুরগির রেকর্ড দাম বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়।

সোনালি মুরগির দামও কেজি ৩৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগিও।

বিক্রেতারা বলছেন, এর আগে কখনোই তাঁরা ২৬০ টাকা কেজিতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেননি।

মূলত বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কমে যাওয়ায় এই রেকর্ড দাম সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও রামপুরা বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, দুই দিনের ব্যবধানে মুরগির দাম আরেক দফা বাড়ল।

দুই দিন আগে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। নতুন করে আরেক দফা দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি।

দুই দিন আগে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায়। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ৩৩০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকায়।

দেশি মুরগির দাম কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫৬০ টাকায়।

তবে বাজারে ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফার্মের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা।

বাজারে নতুন রসুন আসতে শুরু করায় সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে দেশি ও আমদানি করা রসুনের দাম।

দাম কমে বর্তমানে বাজারে আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, আর দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা।

চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে মোটা চাল ব্রি-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি, চিকন চাল (মিনিকেট) বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি আর নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি।

মুরগির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পোলট্রি খাদ্য, বাচ্চা, ওষুধের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে।

এসব কারণে খামারিরা বর্তমানে শেডে মুরগির বাচ্চা তুলছেন না। খামারিরা বলছেন, যে টাকা তাঁরা খামারে মুরগির পেছনে ব্যয় করবেন, বাজার পড়তির দিকে গেলে সেই টাকা আর উঠে আসবে না। যে কারণে বাজারে ব্রয়লার মুরগির এক ধরনের সংকট তৈরি হয়ে দাম বেড়েছে।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন  বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগির দাম আরেক দফা বাড়ল।

দাম বাড়ার কারণে আজ (গতকাল) আমরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। সোনালি মুরগি কেজি ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা, আর দেশি মুরগি ৫৬০ টাকা কেজি।’

তিনি বলেন, ‘বাজারে মুরগির সরবরাহ কম। আর পোলট্রি খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় অনেক খামারি মুরগি তোলেননি। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে।

ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে এখন ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে বেশি দামে বিক্রি করেও আমরা কিন্তু লাভ করতে পারছি না। ক্রেতা ধরে রাখতেই লাভ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছি।’

 


One Reply to “মুরগির রেকর্ড দাম বেড়ে কেজি ২৬০”

Comments are closed.

প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও
কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।