ঢাকা, বাংলাদেশ | মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

শিরোনামঃ

   এবারের তাপপ্রবাহ কেমন হবে জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর    জমি লিখে না দেওয়ায় মায়ের মাথা ফাটালেন ছেলে    গাজীপুরের শ্রীপুরে পানিতে ডুবে দুই জনের মৃত্যু    ইউক্রেনের ৩১টি ড্রোন ভূপাতিতের দাবি রাশিয়ার    রংপুর মহানগরীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু    কুমিল্লায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে পালানোর সময় দুই আসামিকে গ্রেফতার    জবি শিক্ষার্থী তিথির ৫ বছরের কারাদণ্ড    ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হচ্ছে রিভিল নামের ফিচার    মাঝ আকাশে বিমান থেকে সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার হুমকি যাত্রী!    শরীরে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা সেই ব্যক্তি মারা গেছেন    দৈনিক উপার্জন ওরির ৫০ লাখ রুপি    ছেলেকে প্রকাশ্যে আনলেন নুসরাত, জন্মের তিন বছর পর    ভাবীর পরকীয়া প্রেম জেনে যাওয়ায় দেবরকে হত্যা    ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট ইবুতে ফের অগ্ন্যুৎপাত, ৫ কিলোমিটার উঁচুতে ছাই    গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল প্রাইভেটকার আরোহীর

স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে আজ সকাল ১০ টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছিমা সরদারের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সদস্য তানজিলা আক্তার, জিহাদ হোসাইন। মানববন্ধনের পূর্বে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসে শহিদদের স্মরণে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ শাসনের শুরুতে পাকিস্তানের শরীফ কমিশনের আদলে মজিদ খানের শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে। এই শিক্ষানীতির মূল কথা ছিল ‘টাকা যার শিক্ষা তার’। সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, সেক্যুলার, একইপদ্ধতির, গনতান্ত্রিক শিক্ষা এই বৈষম্যমূলক মজিদ খান শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে গুলি চালিয়ে ছাত্র হত্যা করে। শহিদ হন জাফর, জয়নাল, কাঞ্চন, দিপালি সাহা প্রমুখ। দেশব্যাপী প্রতিরোধের মুখে এরশাদশাহী এ শিক্ষানীতি বাতিল করতে বাধ্য হয়। এর পর থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসাবে পালিত হয়। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে অনেক শাসকের পরিবর্তন হয়েছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫২ বছর কিন্তু সেই পাকিস্তানের কুখ্যাত শরিফ কমিশন স্বৈরাচার এরশাদের কুখ্যাত মজিদ খান কমিশনের শিক্ষানীতির আদলে এখনো শিক্ষা চলছে। বর্তমানে শিক্ষাক্রম ২০২১ প্রনিত হয়েছে, এই শিক্ষাক্রমের মর্মবস্তু আর প্রত্যাখ্যাত সেই শিক্ষানীতিগুলোর সাথে তেমন কোন পার্থক্য নাই। এখনো শিক্ষার ব্যাপক বাণিজিকীকরণ চলছে এবং শিক্ষা বৈষম্য আরো অনেক বেড়েছে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, শিক্ষা বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে, শিক্ষার সম্পূর্ণ আর্থিক দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাঙ্খা ও স্বাধীনতার পরে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলনে দাবী উত্থাপিত হয়েছিল সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, সেক্যুলার, একইপদ্ধতির, বৈষম্যহীন, গনতান্ত্রিক শিক্ষার। নেতৃবৃন্দ ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী মানুষের প্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, সেক্যুলার, একইপদ্ধতির, বৈষম্যহীন গনতান্ত্রিক শিক্ষা ও কারিকুলাম প্রণয়নের জোর দাবি জানান ।

এনএএন টিভি / জিহাদ হোসাইন


প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও
কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।