রোহিঙ্গা হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ নাগরিক অধিকার, নিরাপত্তা, জায়গা-জমি ও বাড়িঘর নির্মাণের স্বীকৃতি দিলেই মিয়ানমারে ফিরবে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা।
বুধবার (১৫ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দর এলাকার ভবনে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের কাছে রোহিঙ্গারা এ কথা বলেন।
প্রথম দিনে ১০০ রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেছেন মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
এ সময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধিসহ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে স্পিডবোটে করে মিয়ানমারের পাঁচ নিরাপত্তাকর্মী ও টেকনিক্যাল টিমের ১৭ সদস্য মিলে
২২ জনের প্রতিনিধি দল টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি ঘাটে পৌঁছায়।
বৈঠক শুরু হলে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আসা পাঁচ নিরাপত্তাকর্মী মিয়ানমার ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন : উপজেলা, পৌর ও ইউপির শতাধিক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নিজ দেশ মিয়ানমারে নাগরিক নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
আন্তর্জাতিক চাপে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আর শুরু হয়নি।
তবে ২০১৯ সালে দুদফা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা তুলে তখন ফিরতে রাজি হননি রোহিঙ্গারা।
আরও পড়ুন : আগামী বছর থেকে জাতীয় মেধাতালিকা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি
এরপরও আশ্রিতদের ফেরত পাঠাতে প্রচেষ্টা থেমে রাখেনি বাংলাদেশ সরকার।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলতে বুধবার কক্সবাজারের টেকনাফে আসে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল।
প্রত্যাবাসনে তালিকাভুক্ত পরিবারের বাদ পড়া রোহিঙ্গাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই শুরু করেছে প্রতিনিধি দল।
জানা যায়, টেকনাফ স্থলবন্দরের অভ্যন্তরে মালঞ্চ সম্মেলন কক্ষে রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই-বাচাই কাজ শুরু হয়।
মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্সের মংডুর আঞ্চলিক পরিচালক অং মাইউ এবং
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি)
অতিরিক্ত কমিশনার মুহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সাক্ষাৎকার গ্রহণ চলছিল।
2 Replies to “নাগরিক অধিকার পেলেই মিয়ানমারে ফিরবে রোহিঙ্গা”
Comments are closed.