নিখোঁজ লামিয়ার হদিস দেয়া বেনামি চিঠি রহস্যে ঘেরা এখনো।
এদিকে, নিখোঁজ স্কুলছাত্রী লামিয়ার পরিবারের দাবি, চিঠির হাতের লেখার সঙ্গে লামিয়ার স্বামী তরিকুল ইসলামের হাতের লেখার মিল রয়েছে।
তবে পুলিশ বলছে, বেনামি চিঠির মাধ্যমে তরিকুল লামিয়ার লাশের সন্ধান দেবে, এটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না।
এদিকে, নিহত লামিয়া আক্তারের বাড়ির সামনে থেকে পাওয়া এক বেনামি চিঠির সূত্র ধরে,
গত সোমবার (১৩ মার্চ) পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সাতকাছিমা গ্রামের মোজাহার মোল্লার
বাড়ির পাশে বালু দিয়ে ভরাট করা একটি জমিতে পুঁতে রাখা কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।
তবে লাশটি চার মাস ধরে নিখোঁজ কলেজছাত্রী লামিয়ার কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন,
ময়নাতদন্তের পর লামিয়ার পরিবারের দাবি অনুযায়ী তাঁদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার পর লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তবে লাশের চুলের বেণি দেখে পরিবারের সদস্যরা লাশটি লামিয়ার বলে নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মূল আসামি গ্রেপ্তার হলে হত্যার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।
তবে গ্রেপ্তার তরিকুলের খালা রেক্সনা বেগম (৪০) হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কোনো তথ্য দেননি।
লামিয়া আক্তারের খালা সাবিনা বেগম বলেন,
বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেনে না নেওয়ায় লামিয়া বাবার বাড়িতে থাকতেন।
বিয়ের কয়েক মাস পর তরিকুলের মুঠোফোনে এক মেয়ের পাঠানো খুদে বার্তা নিয়ে মাঝেমধ্যে লামিয়ার ঝগড়া হতো।
অপরদিকে, তরিকুলের মা–বাবা ছেলেকে এক প্রবাসীর মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু লামিয়া তরিকুলের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করার পর এলাকাবাসী তাঁদের বিয়ে দিয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ তরিকুলের মা–বাবা লামিয়াকে মেনে নেননি।
বেনামি চিঠি প্রসঙ্গে (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন,
লামিয়ার পরিবারের দাবি চিঠিটি তরিকুলের লেখা।
কিন্তু তরিকুল লামিয়ার লাশের সন্ধান দেবে, এটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি।
তরিকুল লাশ গুম করার পর লাশের অবস্থান জানিয়ে চিঠি দেবে, এটা বিপরীতমুখী।
হয়তো বিষয়টি জানে, এমন কেউ চিঠিটি লামিয়ার পরিবারের কাছে পাঠাতে পারে।
তবে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী লামিয়া আক্তারের (১৮) পরিবারের দাবি, চিঠির হাতের লেখার সঙ্গে লামিয়ার স্বামী তরিকুল ইসলামের হাতের লেখার মিল রয়েছে।