রংপুরে নগরীতে বিক্রি হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ। এতে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমাতে অভিযানে নেমেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে ৫ ওষুধ ব্যবসায়ীকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালক ও রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, ওষুধ মানুষের জীবন বাঁচায়। সেই ওষুধই যেন মানুষের মৃত্যুর কারণ না সে জন্য নিয়মিত অভিযান চলবে। অভিযানে আমরা ব্যবসায়ীদের সচেতন করছি। এরপরও যদি কোনো ব্যবসায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখে তাহলে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে।
সোমবার দুপুরে রংপুর নগরীর ধাপ এলাকার বিভিন্ন ফার্মেসিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা।
এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে পপুলার ফার্মেসিকে ১৫ হাজার,
শিমু ফার্মেসিকে ৫ হাজার, আশা ফার্মেসি ও সার্জিকালকে ৫ হাজার,
মুন ফার্মেসিকে ২ হাজার ও মেট্রো ফার্মেসির মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রংপুরে নগরীতে অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ না রাখতে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা।
সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন,
জীবন বাঁচানোর জন্য যে ওষুধ ব্যবহার করা হয়,
সেটি মেয়াদোত্তীর্ণ হলে মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে দাঁড়াবে।
কোনো ওষুধ ব্যবসায়ী যেন মেয়াদোত্তীর্ণ,
ক্লিনিক্যাল ট্রাইলে থাকা ওষুধ বিক্রি করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ সময় রংপুর ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম বলেন,
এখন থেকে অনিবন্ধিত, ফুড সাপ্লিমেন্ট, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ মজুত রাখার ব্যাপারে নিয়মিত অভিযান চলছে।
যৌথ অভিযানে অংশ নেয় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যরা।
One Reply to “রংপুরে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করায় ৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা”
Comments are closed.