প্রচলনের মাত্র সাত বছরের মাথায় ২ হাজার রুপির নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে ভারতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
অনেকেই এতে অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করলেও, তা মানতে নারাজ রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
আবার অনেকেই এতে খুব একটা সমস্যা হবে বলে মনে করেন না।
ভারতে ২ হাজার রুপির নোট বাতিলের ঘোষণায় সাড়ে ছয় বছর আগের দুঃসহ স্মৃতি যেন আবারও জনমনে উঁকি দিচ্ছে।
বাজারে ছাড়ার মাত্র ৭ বছরের মাথায় কেন এই নোট তুলে নেয়া হচ্ছে, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
মোদি প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে অনেকেই অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করলেও, এতে খুব একটা সমস্যা দেখছেন না সাধারণ মানুষ।
উল্টো এতে লেনদেনের ক্ষেত্রে ভোগান্তি অনেকাংশে কমবে বলেও মনে করেন অনেকের।
এমনই একজন বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিক দিয়ে বিবেচনা করলে নিঃসন্দেহে এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত,
তারপরও আমরা মনে করি অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার সামর্থ সরকারের রয়েছে এবং তারা ভেবে-চিন্তেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকারে নোট বাতিলের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এক মুদি দোকানি বলেন, বড় নোটের পরিবর্তে ছোট নোট বাজারে আসলে লেনদেনে সুবিধা হবে।
তাছাড়া, এখন ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা থাকায় বড় নোটের খুব একটা প্রয়োজনও পড়ে না।
এদিকে রিজার্ভ ব্যাংক ইন্ডিয়াও বলছে, ২ হাজার রুপির নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রভাব অর্থনীতিতে সামান্যই পড়বে।
বরং দুর্নীতি রোধে এ পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও দাবি করা হয়।
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন দাবির প্রতি একমত দেশটির বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ কৃষ্ণমূর্তি সুব্রামানিয়াও।
তার মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২ হাজার রুপির নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে কোনো ভুল নেই।
কৃষ্ণমূর্তির দাবি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এ পর্যন্ত ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে লেনদেন হওয়া যে পরিমাণ রুপি উদ্ধার করেছে, তার বেশিরভাগই ২ হাজার রুপির নোট।
বাজারে ২ হাজার রুপির নোটের মোট অর্থমূল্যের মাত্র ২০ শতাংশ বৈধভাবে লেনদেন হয়, আর ৮০ শতাংশই অবৈধ লেনদেনে ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন :