রফতানি কমে আসায় লোকসানে চাষিরা। প্রধান আমদানিকারক দেশগুলো বাংলাদেশে থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছে।
অন্যদিকে দেশেও কমেছে পাটের ব্যবহার। এতে চাহিদার পাশাপাশি কমেছে দাম।
ফলে প্রতি মণ পাট বিক্রিতে অন্তত ৫০০ টাকা পর্যন্ত লোকসান হচ্ছে বলে দাবি করছেন নাটোরের পাট চাষিরা।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় পাট রফতানি বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কে ভূমিকম্পের পর সেই দেশের ক্রেতারাও পণ্যটি কিনছেন না।
সবশেষ তুরস্কে ভূমিকম্প হওয়ার পর পণ্যগুলো সেখানে যেতে পারছে না।’
পাটকল মালিকরা বলছেন, ভারতের অতিরিক্ত কর আরোপের
কারণে দেশটিতে উৎপাদিত পাটের সুতা ও বস্তার রফতানি কমে গেছে।
এ ছাড়া দেশে ১৮টি পণ্য পাটের ব্যাগে বিক্রির নির্দেশনা থাকলেও সেটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় অভ্যন্তরীণ বাজারেও বিক্রি কমেছে।
এদিকে দেশ ও বিদেশে চাহিদা কমায় নাটোরের হাটে গত ৩ সপ্তাহের ব্যবধানে পাটের দাম পড়ে গেছে।
কৃষকরা বলছেন, মণপ্রতি উৎপাদন খরচ ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়।
কাজেই তাদের দাবি, লাভ দূরে থাক, এতে মণপ্রতি লোকসান হচ্ছে ৫০০ টাকা।
এক কৃষক বলেন, পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। গত বছর ৩ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে পাট বিক্রি করেছি।
কিন্তু এবার ২ হাজার ২০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
আমরা ব্যাপক লোকসানে আছি।
এ অবস্থায় পাটচাষিদের লাভবান করতে দেশে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ানোর
পাশাপাশি রফতানির নতুন গন্তব্য সৃষ্টির বিকল্প নেই বলে মনে করেন
নাটোরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ইয়াছিন আলী।
তিনি বলেন, ‘পাটজাত পণ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
একই সঙ্গে পাটের রফতানিও বাড়াতে হবে।
এতে বাজারে পাটের দাম বাড়বে বলে আশা করছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে
জেলার সাড়ে ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে ৮৯ হাজার ৫২৮ টন পাট উৎপাদিত হয়েছে।
One Reply to “রফতানি কমায় দুশ্চিন্তায় চাষিরা”
Comments are closed.