চট্টগ্রামে পরিবেশবান্ধব গ্রিন শিপইয়ার্ডের তকমা পেয়েছে সীতাকুণ্ডে এস এন করপোরেশন।
এ স্বীকৃতি মূলত পরিবেশ দূষণ কমানো ছাড়াও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখায়।
এদিকে, গ্রিন শিপইয়ার্ড হওয়ায় প্রচুর বিদেশি জাহাজ আনা সম্ভব হবে বলে আশা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়্যারম্যান মো. শওকত আলী চৌধুরী।
সীতাকুণ্ডে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের সরেজমিন চিত্র বলছে,
সমুদ্রের পাশে অবস্থিত জাহাজ ভাঙা এ শিল্পের চারপাশে সারি সারি ভাবে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ফলজ গাছ।
সেই সঙ্গে সাগরের তীর থেকে ক্রেনে লোহার টুকরা তুলে এনে চলছে কাজ। এতে সাগরের কোথাও নেই পরিবেশ দূষণের কোন চিহ্ন।
এক সময় দেশে দেড়শর বেশি জাহাজ ভাঙা প্রতিষ্ঠান ছিল। নানা কারণে সীতাকুণ্ড উপকূলে এখন সচল আছে ৩০ থেকে ৩৫টি জাহাজ ভাঙা প্রতিষ্ঠান।
এমনকি জাহাজ কাটতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে শ্রমিক নিহত কিংবা আহত হওয়ার ঘটনা ছিল এখানে নিত্যদিনের।
এ অবস্থায় এ খাতের মানোন্নয়নে ইয়ার্ডের চারপাশে পর্যাপ্ত গাছ লাগানো, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, মানসম্মত থাকা-খাওয়া,
প্রাথমিক চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা এবং পরিবেশ দূষণ কমানোসহ আইএমওর গাইডলাইন মেনে চলায় গ্রিন শিপইয়ার্ডের স্বীকৃতি পেয়েছে এস এন করপোরেশন।
শ্রমিকদের সুরক্ষার বিষয়টি তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটির সিইও মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বলেন,
‘সার্টিফিকেটে আমাদের প্রতিষ্ঠানের যেসব বৈশিষ্ট্য দেখানো হয়েছে, তা যদি ঠিকঠাক মেনে চলি, তাহলে আমাদের কর্মীরা ১০০ শতাংশ নিরাপদ থাকবেন বলা যায়।
এদিকে, গ্রিন শিপইয়ার্ড হওয়ায় পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা না থাকার পাশাপাশি কাটার জন্য প্রচুর বিদেশি জাহাজ আনা সম্ভব হবে বলে জানান চেয়্যারম্যান মো. শওকত আলী চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব না হলে বিদেশিরা আমাদের জাহাজ দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল।
তারা চায় যে পুরো পৃথিবীতেই পরিবেশবান্ধব ও টেকসই গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং হোক।
তবে করোনা অতিমারির পর ও ডলার সংকটের মধ্যেও ধীরে ধীরে জাহাজ ভাঙা শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে।
কিন্তু হঠাৎ করেই পরিবেশ অধিদফতর অরেজ্ঞ জোন থেকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ রেড জোনের তালিকায় নামিয়ে আনায় দেড় মাস ধরে জাহাজ কাটা বন্ধ।
আরও পড়ুন :