রাজধানীর মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১১ নম্বর স্টেশন আজ বুধবার খুলে দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ থেকে এ দুই স্টেশনে ট্রেন থামার পাশাপাশি চালু হবে যাত্রী পরিবহন।
মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হয় উত্তরা থেকে আগারগাঁও স্টেশনে ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে।
শুরুতে মাঝখানের কোনো স্টেশনে ট্রেন থামত না।
পরের ধাপে উত্তরা সেন্টার, পল্লবী ও মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন চালু হয়।
চলিত মাসে আগারগাঁও-দিয়াবাড়ী অংশের বাকি আরো স্টেশন চালু হতে যাচ্ছে।
এম এ এন সিদ্দিক বলেন, ‘এ দুই স্টেশন মিলে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে মোট সাতটি স্টেশন চালু হচ্ছে।
এই পথে বাকি আরো দুটি স্টেশন চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে চালু হবে।
তবে এখনই সুনির্দিষ্ট তারিখ বলা যাচ্ছে না। চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে মেট্রো রেলের চলাচল পুরোদমে শুরু হবে।
তখন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ট্রেন চলবে।’
তিনি বলেন, ‘মেট্রো রেল লাইন-৬-এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের কাজ শেষ পর্যায়ে। স্টেশন নির্মাণকাজও প্রায় শেষ। এখন এক্সিট ও এন্ট্রির নির্মাণ কাজ চলছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উদ্বোধনের পর থেকে গত ৮ মার্চ পর্যন্ত মেট্রো রেলে সাত লাখ ৯০ হাজার যাত্রী চলাচল করেছে।
আয় হয়েছে চার কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
এ সময়ে এমআরটি পাস বিক্রি হয়েছে ১৬ হাজার ৯১০টি। বর্তমানে মেট্রো রেলের আয় দিয়ে ব্যয় মেটানো সম্ভব হচ্ছে।
৩৩ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটার দেশের প্রথম মেট্রো রেল নির্মাণকাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে।
প্রকল্পটি ২০১২ সালে হাতে নেয় সরকার। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর এই পথের প্রথমাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১.৭৩ কিলোমিটার চালু করা হয়।
দ্বিতীয় অংশ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলতি বছরের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত অংশ ২০২৫ সালে চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।