পঞ্চগড়ে মধ্যরাতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ফিরোজ আহমেদ (২৫) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দিবাগত গভীর রাতে পঞ্চগড়ে জেলা শহরের সোনালী ব্যাংকের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ফিরোজ আহমেদের বাড়ি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার পলি মির্জাপুর আবতাবগঞ্জ এলাকায়। তিনি ওই এলাকার আবু সাঈদের ছেলে।
গত এক বছর আগে পঞ্চগড় পুলিশ লাইন্সে যোগদান করেন ফিরোজ। চাকরির সুবাদে তিনি পঞ্চগড় শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রীসহ বসবাস করতেন।
গত ৩১শে জুলাই পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় নিরাপত্তা বিভাগে যোগদান করেন তিনি।
পুলিশ জানায়, গভীর রাতে অন্য দিনের মতো পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন ফিরোজ।
এসময় মোবাইলে স্ত্রী উপমার সাথে কথা বলছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে মুঠোফোনেই স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি হয় তার।
পরে রাত ১ টার দিকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তার স্ত্রী উপমা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। এ
খবর শুনে গলায় রাইফেল ঠেকিয়ে গুলি করেন তিনি। পরে গুলির শব্দ পেয়ে অন্য পুলিশ সহকর্মীরা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মির্জা সাইদুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মির্জা সাইদুল ইসলাম বলেন,
‘ওই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল।
তার থুতনির নিচে ও মাথার উপরে গর্তসহ মারাত্মক জখম হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে তার মাথা থেকে অনবরত রক্ত ঝরছিল।
তবে ময়নাতদন্তের পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে। সম্ভবত রাইফেলের গুলিতে এমন জখম হতে পারে।’
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন,
‘পারিবারিক কলহের জেরে ওই পুলিশ সদস্য নিজেই নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতের বাড়িতে খবর খবর দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি।
সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
আরও পড়ুন :
- গাজীপুরে সড়ক বিভাজকে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় দুইজন নিহত
- ঝালকাঠির ছত্রকান্দায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, আহত ১০-১২
- মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলায় ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
One Reply to “পঞ্চগড়ে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যা”
Comments are closed.