ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরাইলে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাসহ জেলা ও গোয়েন্দা পুলিশের ১০-১২ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রবিবার (১২ মার্চ) জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলা করেন সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান।
শুনানি শেষে আদেশের জন্য আগামী ১৫ মার্চ দিন ধার্য করেছেন জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার ।

পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩-এর ১৫(১) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শেহাবুর রহমান, উপ-পরিদর্শক মো.জয়নাল আবেদীন ও পঙ্কজ দাশ,
সহকারী উপ পরিদর্শক দিলিপ কুমার নাথ এবং জেলা গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিদর্শক রেজাউল ইসলামসহ সরাইল থানা ও ডিবির অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন পুলিশ সদস্য।
ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মামলায় দাবি করেন,
গত ২ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়নের সীতাহরণ গ্রামের হারিছ মিয়া এবং সোলাইমান মিয়ার লোকজনের মধ্যে ঝগড়ার কারণে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
তিনি বিষয়টি সরাইল থানার ওসিকে ফোনে জানান।
এ সময় ওসি ছুটিতে আছেন জানিয়ে পরিদর্শকের (তদন্ত) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
ইউপি চেয়ারম্যান পরে সরাইল থানা পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাসহ
জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে সংশ্লিষ্টরা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এদিকে বিবাদমান দুপক্ষের লোকজনের বিরোধ মীমাংসার জন্য তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন।
এদিকে জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা চেয়ারম্যানকে ফোন দিয়ে রাতের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসার জন্য অনুরোধ জানান।
বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করাকালে ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সরাইল থানা পুলিশ এবং জেলা গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থল সীতাহরণ বাজারে যান।
তারা এ সময় চেয়ারম্যান মোস্তাফিজকে মারধর শুরু করেন।
এ সময় মোস্তাফিজুর রহমান নিজেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পরিচয় দেওয়ার পর পরিদর্শক শেহাবুর রহমান এবং উপ পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন তাকে গালাগাল করেন।
এক পর্যায়ে তাকে পিকআপ ভ্যানে উঠিয়ে সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসায় নিয়ে আসেন।
এ সময় সাবেক ইউপি সদস্যসহ পাঁচ জনকে থানায় নিয়ে আসেন এবং পরদিন ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫১ ধারায় তাদের আদালতে পাঠান।
One Reply to “ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা”
Comments are closed.