সোমালিয়ার জাতীয় সেনাবাহিনী ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত জুবাল্যান্ড অঞ্চলের অনুগত বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এই লড়াই হয় দক্ষিণ সোমালিয়ার গেডো অঞ্চলের বেলেড হাও শহরে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করলে ফেডারেল সেনাদের সঙ্গে জুবাল্যান্ড বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। জুবাল্যান্ড বাহিনীর একজন কমান্ডার ইউসুফ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দুইজন সেনা নিহত হয়েছে এবং আক্রমণকারী পক্ষের তিনজনকে মৃত অবস্থায় দেখা গেছে।
জুবাল্যান্ডের নিযুক্ত গভর্নর মোহাম্মদ হুসেন আল-কাদি দাবি করেন, এই আক্রমণ শুরু হয় জুবাল্যান্ডের সাবেক নিরাপত্তা মন্ত্রী আব্দিরশিদ হাসান আবদিনুরের আগমনের পর। বর্তমানে হাসান গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং সংঘর্ষ শুরুর কিছু আগে সামরিক হেলিকপ্টারে করে এলাকায় পৌঁছান।
আল-কাদি আরো বলেন, ‘আমরা প্রশাসনিক ভবনগুলো থেকে ফেডারেল বাহিনীকে সরিয়ে দিয়েছি।’ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শহরের কিছু এলাকায় এখনও গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে এবং ফেডারেল সেনারা একটি ঘাঁটিতে ফিরে গেছে।
দেশটির দক্ষিণ গেডো অঞ্চলের বেলেড হাও শহরে সংঘর্ষ শুরু হয়। যা দীর্ঘদিন ধরে মোগাদিশুর সঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনায় জড়িয়ে ছিল।
জুবাল্যান্ড নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডার ইউসুফ আহমেদ এএফপিকে বলেন, সোমালি সেনাবাহিনী ‘শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার’ চেষ্টায় আক্রমণ শুরু করলে এ লড়াই শুরু হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা দুজন সৈন্যকে হারিয়েছি এবং জেলা প্রশাসনের সদর দপ্তরের কাছে নিহত তিন হামলাকারীর লাশ দেখেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘জুবাল্যান্ড নিরাপত্তা বাহিনী এই হামলাকারীদের নিয়ন্ত্রণে এনেছে।’
গেদোর গভর্নর মোহাম্মদ হুসেন আল-কাদি বলেন, আব্দিরশিদ হাসান আবদিনুর একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে আসার পরপরই আক্রমণ শুরু হয়।
তিনি পূর্বে জুবাল্যান্ডের নিরাপত্তা মন্ত্রী ও বর্তমানে এই অঞ্চলের গোয়েন্দা প্রধান।
জুবাল্যান্ড সরকার কর্তৃক মনোনীত আল-কাদি বলেন, ‘তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।’
তিনি আরো বলেন, প্রশাসনিক ভবন থেকে ফেডারেল সরকারি বাহিনীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে, সরকার জুবাল্যান্ড নেতা আহমেদ মাদোবেকে দোষারোপ করেছে।
মঙ্গলবারের হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে তাকে অভিযুক্ত এবং এটিকে ‘অপরাধমূলক কাজ’ বলে অভিহিত করেছে।
জুবাল্যান্ড ও সোমালিয়ার ফেডারেল সরকারের মধ্যে চলমান উত্তেজনা গত বছর আরও তীব্র হয়, যখন সাবেক যুদ্ধবাজ মাডোব চাপ উপেক্ষা করে একতরফাভাবে আঞ্চলিক নির্বাচন আয়োজন করেন এবং তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন।